Skip to main content

❤️আমার তো ইচ্ছে হয়❤️

🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀 আমার ব্লগের প্রিয় পাঠক - পাঠিকার জন্য---
              ‌💮   শারদ উপহার  💮
🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀
একটি সরস রোম্য গল্পঃ 
আজকের গল্পের শিরোনাম👇
                                👉  আমার তো ইচ্ছে হয়🌹
****************************************************
আমার তো ইচ্ছে হয়, এই বুড়ো বয়সে প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়।
যদি ও প্রেম করার মতো না আছে আমার রূপ, আর না আছে আমার সেই বয়স।
ভব নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি , খেয়ার অপেক্ষায় , ওপাড়ে যাবো বলে।
তবু ও তো ইচ্ছে হয় 
এই বয়সে ও এসে 
প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়----

আর কেন হবে না-----?
এই তো সেদিন বাসে চেপে আসছি , আমার পাশে বসা এক লাস্যময়ি ,হাস্যময়ি এক তরুনী তার হাতে ধরা ফোন থেকে
কাকে যেন বলছে ---
হ্যাঁ - বল , আমি--,  তা আমি কোথায় সে কথা ,  তোর জেনে কি হবে---?
আবার জিজ্ঞেস করছিস , কেন রাগ করছি---?
ইস -- , নেকা , তুই জানিস না, আমি কেন রাগ করছি----?
এই ফোন রাখ , ফোনটা রাখ ,আর নাটক করিস না, বুঝলি---
এই কথা গুলো এমন ভাবে মেয়েটি বলছিলো, তার মাথাটা
তখন , এমন ভাবে এদিকে---ওদিকে নড়ছিল, তার কপালের
খুচরো কেশ তখন উড়ে -- উড়ে এসে এমন ভাবে তার মুখের 
উপর পড়ছিল , ও ---, কি যে ভালো তখন লাগছিল-----
তারপর তার কন্ঠের কথাগুলো এতো মধুর ছিলো, যখন সে
মৃদু-- মৃদু হাসছিলো, আর তখন তার সাদা কুন্দ ফুলের মতো  
দাঁতগুলো কথা বলতে--বলতে এমন ভাবে ,  মাঝে-- মাঝে বেড়িয়ে পড়ছিল, আহা---, তখন কি যে ভালো লাগছিলো----
কিংবা তার হাতের আঙ্গুলের লম্বা - লম্বা নখের উপর
 লাল --নীল নেল পালিশের ডিজাইনার রংয়ের ঝিলিক এমন ভাবে ঝলসে উঠেছিল, লাল খয়েরি রংয়ে
রাঙানো ঠোঁটে , দুষ্টু- মিষ্টি মৃদু হাসির খেলা চলছিলো----
তখন আমার পাষান হৃদয় মোমের মতো , গলে গলে যাচ্ছিলো।
তখন আমার মন গলা ছেড়ে গাইতে চাইছিলো-----

🌟 আমারো তো ইচ্ছে হয় , 
     এই বুড়ো বয়সে এসে
     সুন্দরী তরুনীর পাশে
     পার্কের বেঞ্চিতে বসে
    প্রেমে করতে ইচ্ছে হয়-------

না , সেই  গান আর আমার গাওয়া হয়নি------
কারন বাসের কন্টাকটার তখন জানিয়ে দিলো আমার গন্তব্য
এসেগেছে  , তাই আমাকে বাস থেকে তখন নামতেই হলো, নেমে আসতেই হলো।
হেঁটে হেঁটে বাড়ি আসতে আসতে মনে মনে  ভাবতে লাগলাম
আমাদের সময়ে প্রেম ছিলো , ফোন ছিলো না-----
আমাদের সময়ে প্রেমে তুমি ছিলো ,  তুই ছিলো না।
তখন প্রেমে রং ছিলো , এরকম ঢং ছিলো না ,
তখন প্রেমে লাজ ছিলো , ভাঁজ ছিলো না ।
লজ্জা জোরানো কন্ঠে , কাঁপা গলায় , বলো ছিলো,
  হ্যালো ছিলো না।
তথন প্রেমে যেমন ঢাকা --- ঢাকি ছিলো , শরীর ও ঢাকা--
ঢাকি ছিলো।
আর এখন যেমন প্রেম  খুল্লাম খুল্লা , তেমনি শরীরো,
সত্যি , কি যুগ এলো মাইরি -----?

এই তো সেদিন বাসস্টপে আমাদের অফিসের সামন্তদার
ছেলে কে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে , সাথে তার বয়সি একটা মেয়ে , মেয়েটির পরনে একটি স্লীপ লেস  টি-শার্ট ,
কোমরের প্যান্টটা বেশ কয়েক জায়গায় ছেঁড়া - ছেঁড়া,
আর সামন্তদার ছেলের জামাটা ভালো হলেও, প্যান্টটের ঝুল
বেশ অনেকটাই ছোট , এবং ছেঁড়া- কাটা----
আমার সাথে তার চোখাচোখি হতেই সামন্তদার ছেলেই আমাকে বললো ,
কাকু ভালো আছেন-----?
তার উওরে আমি বললাম  , হ্যাঁ ভালো আছি।
তা বাবা তুমি এরকম ছোট হয়ে যাওয়া প্যান্ট পড়েছো কেন-?
সে উওরে বললো এটা ছোট প্যান্ট নয় , এটা লোফার প্যান্ট--
মনে মনে আমি বললাম সুন্দর , ভদ্রলোকের ছেলে লোফার
প্যান্ট পড়ে লোফার হয়ছে-----
তাই তোমাদের প্যান্ট ছিঁড়লো কি করে , কারো সাথে ‌মারামারি করেছিলে বুঝি ------?
ওরা আমার কথা শুনে দুই জনেই হেসে উঠে বলে ----
না -- না কাকু  , মারামারি করিনি , এটা ড্যামেজ প্যান্ট , এটা ---এটা কি বলবো , মানে একে বলে ওই স্টাইল , মানে ইয়ে -- ফ্যাশন আর কি ---।
ওদের উওর শুনে বললাম , ও----
মনে মনে ভাবতে লাগলাম ছেঁড়া জামা প্যান্ট পড়েও আজকাল  মডার্ন  যায় ,
সত্যি , কি দিন এলো মাইরি-----
এমন সময় সামন্তদার ছেলেই বললো আসছি কাকু , ভালো থাকবেন----
এই বলে সে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে লাগলো , তার পিছনে পিছনে সেই মেয়েটি।
ওদের সেই চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে , থাকতে থাকতে
কি জানি কেন ,‌আমার হঠাৎ করে গাইতে ইচ্ছে করলো

🌟 আমার তো ইচ্ছে হয়, 
    এই বুড়ো বয়সে এসে 
    ছেঁড়া জিন্স পড়ে শেষে
    সুন্দরী লোলনার হাত ধরে 
    ঘুরে বেড়াতে ইচ্ছে হয়
    আমার তো ইচ্ছে হয়
   এই বুড়ো বয়সে প্রেমে পড়তে
   ইচ্ছে হয়----

কিন্তু সেই গান  আমার আর গাওয়া হলো না।
কারন তখন বাস এসেগেছে , তাই আমাকে আমার গন্তব্যে যেতে হবে, যেতে হবেই-------

এই‌ তো  গত রবিবার দুপুরে , যখন হঠাৎ করে ইলেকট্রিক চলে গেল।
ভ্যাপসা গরমে জীবনটা আকুপাকু করতে লাগলো, তখন
একটু জীবনটাকে ঠান্ডা করার জন্য , যখন বাড়ির বারান্দায়
এসে দাঁড়ালাম।
তখন আমাদের বাড়ির উল্টো দিকে , বোসেদের বাড়ির দোতলায়, নতুন যে‌ ভাড়াটিয়া এসেছে-----
দেখি সেই নতুন বউদি ও গরমে একেবারে চন্দ্রমুখি আলু সেদ্ধোর মতো সেদ্ধো হয়ে , বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে-----
হঠাৎ আমার সাথে চোখাচোখি হতেই , নতুন বউদি
এমন করে আমার দিকে তাকাতে লাগলো----
যেন তার এই দৃষ্টি দিয়ে আমাকে পেঁচিয়ে ধরবে , নয়তো
এই চোখের দৃষ্টি দিয়ে আমাকে ভস্ম করে দেবে।
বউদি তুমি এরকম করে তাকাছো কেন-----?
তোমার এই তাকানোটা কেমন যেন ,
 আমার গায়ে ছেঁকা লাগে,
তোমার ওরম তাকানোয় , আমার কাটু - কুটু লাগে,
আমার বড়ো ভয় করে------
মাইরি বলছি , আবার ভালোও লাগে গো-----
আর তখন আমার গাইতে ইচ্ছে করছিলো

🌟 বউদি তুমি ওরম ‌তাকিয়ো না 
      আমি কেবল্যা হয়ে যাই
     তোমার ওই দৃষ্টিত
     আমি পুড়ে হইগো ছাই
     তুমি ওরম তাকিয়ো না                      ্য্্য্য্্্য্্য্য্্য্্য্্্য্্য্্য্য্্য্
  
কিন্তু গানটা গাইতে পারলাম না।
গাইতে পারলাম না কারন ভয়ে ,
এক অজানা সর্বনাসের ভয়ে,
বউদির এরকম করে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে
আমি ভিতরে - ভিতরে ঘামছি , হয়তো বা কাঁপছি ও
আমার শিরা দিয়ে প্রভাবিত হোওয়া রক্ত স্রোতের গতি
যেন  এমনি -- এমনি বেড়ে যেতে লাগলো , একটু , একটু করে আমার শরীরটা------
আমি আমার চোখের সামনে দুপুর ঠাকুরপো ফিল্মের
হট বউদি কে দেখতে পেলাম।
বউদি আমার দিকে তাকিয়ে আছে , ঠোঁটে দুষ্টামি ভোরা হাসি নিয়ে , আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসতে লাগলো।
বিশ্বাস করুন  , আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম।
সর্বনাসের ভয় , উচ্ছন্নে যাওয়ার ভয়-----
আর সেই ভয়ে আমি আমার দুচোখ বন্ধ করে , চুপচাপ , শুধু চুপচাপ , আমাদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলাম।
এমন সময় হঠাৎ একটা ঠান্ডা হাওয়া। সোজোরে ঝাপটা মারলো , আমার মুখের উপর।
এতক্ষন ধরে  ,ভয়ে , উত্তেজনায় গরম হয়ে যাওয়া আমার
শরীরটা নিমিষেই শীতল হয়ে গেল।
আমি জোরে ,খুব জোরে , বুক ভরে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে ,
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।
আ--------, কি শান্তি------
হঠাৎ আমার বন্ধ দুই চোখের পাতা আপনা --- আপনি
খুলে গেল।
এতক্ষন ধরে আমাকে ধরে রাখা ভয়টা যেন কোথায় উড়ে গেল।
আমি বউদির দিকে তাকালাম।
দেখলাম , বউদি  তখনো সেই ভাবে দুষ্টামি ভোরা দৃষ্টিতে , আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমার না তখন , গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করলো

🌟 আমার তো ইচ্ছে হয়
      এই হট বউদির  প্রেমে পড়ে 
      হাবু ---  ডুবু  খেতে ইচ্ছে হয়
      বউদির প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হয়
      প্রেম করতে ইচ্ছে হয়
       আমার তো ইচ্ছে হয়
কিন্তু সেই গান আর আমার গাওয়া হলো না।
গাওয়া হলো না কারন , মা নিচ থেকে আমার নাম ধরে
ডেকে বললো , এই নিচে আয় , কুরিয়ারের লোক কি দিতে এসেছে।
মায়ের ডাকে , বললাম আসছি------
আর মনে মনে বলতে লাগলাম, কি আর দিতে এসেছে ,
বাঁশ , বাঁশ দিতে এসেছে।
মনেমনে এইকথা বলতে - বলতে , উপর থেকে সিঁড়িদিয়ে
নিচে নামতে - নামতে , গুন - গুন ‌করে গাইতে লাগলাম-----
🌟 আমারা তো ইচ্ছে হয়
    এই বুড়ো বয়সে এসে
    ঘাটের মোরা হয়ে শেষে
    প্রেম করতে ইচ্ছে হয়
   আমারা তো ই---চ্ছে ----হ---য়------
,🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵
 বিঃ দ্রঃ --- উপরের গল্পঃটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক
তাই  , হে পাঠক এই গল্পের স্হান , চরিএ , ঘটনা কোনকিছুর সাথেই এর মিল খোঁজার চেষ্টা করবেন না।
নিবেদনে 👉 লেখক শ্রী সমীর✍️🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴🔵🔴

****************************************************
                ‌                      সমাপ্ত
****************************************************
                    ভালো থাকুন  , সুস্থ থাকুন
                               নমস্কার🙏
                             
****************************************************


















Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...