Skip to main content

কম পুঁজিতে বাড়িতে বসে মহিলাদের লাভ জনক ব্যাবসা

কম পুঁজিতে বাড়িতে বসে মহিলাদের লাভ জনক ব্যাবসা 
হলো বিভিন্ন ধরনের ‌আচার তৈরী করে বিক্রি ‌করা।
এই আচার‌ তৈরী ‌করতে কোন প্রকার মেশিন লাগেনা।
যে কেউ‌এই আচার তৈরি করতে পারবেন।
সারা বছর ধরে এই আচার বিক্রি হয়।
এই আচারের ব্যসসা‌ করতে টাকা লাগে‌ কম , লাভ থাকে বেশি।
বাড়ির ‌মহিলারা প্রায় সবাই কম বেশি আচার তৈরি করতে পারেন ।
তবে আধুনিক প্রক্রিয়াকরন এবং ‌দীর্ঘদিন  আচার ভালো রাখা যায় কি ভাবে , সেটাই শুধু আপনাকে জেনে নিতে হবে।

আচার বিভিন্ন রকমের হয়--------
যেমন আমের আচার, আমড়ার আচার,‌জলপাইয়ের ‌আচার,
আমলকির আচার, কামরাঙা ( করভাঙার) আচার, কুলের আচার, তেঁতুলেরর আচার, আনারসের আচার, পেঁপের আচার, লঙ্কার আচার, আদার‌আচার‌ , রসুনের আচার  মাসরুমের আচার ইত্যাদি।
তবে মানুষ জন আমের তৈরী বিভিন্ন ধরনের আচার কেই ‌বেশি পছন্দ করেন।
                                      
আজ এই পর্বে আমি আলোচনা করবো আমের ‌বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি নিয়ে।
আমি পর্ব ২ য়ে কাঁচা আমের কাসুন্দি তৈরীর রেসিপি নিয়ে
লিখেছি------

    আজ‌ পর্ব ৩ 
 এই পর্বে কাঁচা আমের মোরব্বা তৈরীর রেসিপি নিয়ে লিখছি।

 কাঁচা আমের ‌মোরব্বা তৈরীর‌ উপকরন বা যে জিনিস গুলোর প্রয়োজন।
কাঁচা আম
চিনি 
 পানে‌ খাওয়ার ‌চূন
টুথ‌ পিক
কড়াই
বড়ো কাঠের হাতা বা বড়ো চামচ
কাঁচের বড়ো জার

 ১ কেজি ওজনের কাঁচা আমের মোরব্বা তৈরী করতে যে উপকরন লাগবে ।

১ কেজি পুস্টো‌ ফেস কাঁচা আম
চিনি ১ কেজি
১০ থেকে ২০  গ্রাম ওজনের পানে খাওয়া চূন

কিভাবে কাঁচা আমের মোরব্বা তৈরী করবেন--------
প্রথমে ভালো কাঁচা আম গুলো ভালো করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন।
আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন, আমের আঁটি বাদ দিয়ে--
এবার এক একটি আমকে লম্বা ভাবে চার ভাগে কেটে নিন।
আমের টুকরো গুলোকে টুথ পিক দিয়ে গেঁথে - গেঁথে ছিদ্র করে নিন।
এবার একটি গামলায় ২ লিটার পরিমান জলে ২০ গ্রাম পানে খাওয়া গোলা চূন ভালো করে গুলিয়ে নিন।
এবার চূন গোলা জলে আমের টুকরো গুলো  ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
৩০মিনিট পর চুন জল থেকে ‌আমের টুকরো গুলো ভালো করে ছেঁকে নিন।
 একটি কড়াইয়ে এবার ১ লিটার জলে , ১ কেজি চিনি দিয়ে 
উনুনে বা  গ্যাসওভেনে ভালো করে ফুটিয়ে নিন।
যতখন না চিনি জলে গুলো মিশে না যায়।
এবার এই ফুটন্ত চিনির রসে কাঁচা আমের টুকরো গুলো
ছেড়ে দিন।
বড়ো কাঠের হাতা বা বড়ো চামচ দিয়ে ঘন- ঘন‌ নাড়তে
থাকুন।
দেখবেন কড়াইয়ে যেন লেগে না যায়, বা এই মিশ্রণটি
পুড়ে না যায়।
এই ভাবে আমের টুকরো গুলো চিনির রসে ভালো করে শুকনো মাখামাখি করে নিন।
যেমন সব রস আমের সাথে মাখামাখি হয়ে যায়।
চিনির রসে যেমন অবশিষ্ট না থাকে।
এরপর কড়াই উনুন বা গ্যাস ওভেন থেকে নামিয়ে নিন।
৩- ৪ ঘন্টা ঠান্ডা করে, বড়ো কাঁচের জারে ভরে ভালো করে জারের বাঁকা এঁটে রেগে দিন।
এরপর আমের মোরব্বা ৪ থেকে ৫দিন কড়া রোদে দিন।
এবার মোরব্বা আপনি নিজে খেতে পারেন বা কাউকে খাওয়া তে পারেন অথবা বিক্রি করতে পারেন।
________________________________________________
 বিঃদ্রঃ ----আশা করি আপনারা সবাই আমার থেকে অনেক বেশি আচার তৈরি করতে জানেন। তবুও এই রেসিপিটা ফলো করে দেখবেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আগামী পর্বে ‌আমের জেলি‌‌ তৈরীর রেসিপি নিয়ে লিখবো।
🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀                          ‌    নমস্কার 🙏
                   ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
                             ইতি সমীর----✍️
আমার ব্লগে আমার লেখা ‌গুলো পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে আমাকে ই-মেইলে  কমেন্ট করে জানাবেন।
আমার ই-মেইল 👉 mondal1100mondal@gmail.com
আপনাদের মূল্যবান মতামত এর আশায় রইলাম।
🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵🔵
আমি আমার এই ব্লগে আরো অনেক রকমের স্মল বিজনেস আইডিয়া নিয়ে লিখেছি।
আপনি পড়তে চাইলে ‌গুগল সার্চ বারে টাইপ করুন
 👉 blogger/allsamir.blogpost.com
অথবা 👉allsamir.blogpost.com
💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐
৫০০০হাজার টাকা থেকে ২০,০০০ হাজার টাকার মধ্যে নানান রকমের স্মল বিজনেস নিয়ে আপনাদের ‌কিছু
জানার থাকলে বা যে কোন স্মল বিজনেস সমন্ধে আপনার কিছু জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে ই-মেইলে করূন
আমার ই-মেইল 👉 mondal1100mondal@gmail.com
 আমি বিনামূল্যে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর, আমার সাধ্য
মতো দেওয়ার চেষ্টা করবো।
🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀
                   ্য্য্য্য্তি্য্য্য্য্ত্য্য্য্য্তি্য্য্য্্য্য্য্য্তি্য্য্য্


 
 ্য্্য্য্্্য্্য্য্্য্্য্্য্য্্্য্য্্য্য্্্য্্য্য্





Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...