Skip to main content

কম পুঁজিতে বাড়িতে বসে মহিলাদের লাভ জনক ব্যাবসা

কম পুঁজিতে বাড়িতে বসে মহিলাদের লাভ জনক ব্যাবসা
                             আজ পর্ব ৪ 
* আজ কে আলোচনা করবো কাঁচা আমের জেলি তৈরী ‌*

বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ‌আচার তৈরী করে , মহিলারা ‌বিক্রি
করে , অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই নিজেকে স্বনির্ভর করতে
পারবেন।
প্রায় মহিলারা সবাই আচার তৈরি করতে পারেন,
তাছাড়া এই আচার তৈরি করতে কোন মেশিনের প্রয়োজন নেই।
যে কেউ অতি সহজেই তৈরি করতে পারে।
এই ব্যাবসা করতে পুঁজি লাগে কম।
সারা বছর ধরে এই আচারের চাহিদা থাকে।
তাই এই ব্যাবসাটি সারা বছর ধরে চলবে।
লাভ থাকে প্রচুর------
এবার জেনে নেওয়া যাক এই আচার কত রকমের হয়-----
আমের আচার, আমড়ার আচার , ‌জলপাইয়ের ‌আচার,
কামরাঙা ‌বা করভাঙার আচার, তেঁতুলের আচার, আনারসের আচার, পেঁপের আচার, লঙ্কার আচার,আদার আচার, রসুনের আচার, চালতার আচার, কুলের আচার,
মাসরুমের আচার ইত্যাদি।
তবে মানুষ জন আমের বিভিন্ন ধরনের ‌আচার কেই ‌বেশি পছন্দ করেন।
আমি  আমার এই ব্লগে কম পুঁজিতে বাড়িতে বসে মহিলাদের লাভ জনক ব্যাবসা অনেক গুলো আর্টিকেল লিখেছি।
পড়তে চাইলে---------
গুগল সার্চ বারে টাইপ করুন
👉allsamir.blogpost.com
অথবা 👉 blogger/Samir.blogpost.com
 পর্ব ‌১ । বিভিন্ন ধরনের ‌কড়াইয়ের বড়ি তৈরি  
পর্ব ২। কাঁচা আমের কাসুন্দি তৈরী
পর্ব ৩। কাঁচা আমের মোরব্বা তৈরী
পর্ব ৪। কাঁচা আমের জেলি তৈরী
                আজ পর্ব ৪ 
কাঁচা আমের জেলি তৈরী------

কাঁচা আমের জেলি তৈরী করতে লাগবে
পুষ্ট ৪- ৫টি কাঁচা ‌আম ওজন‌ আনুমানিক ৫০০গ্রাম
চিনি ‌৫০০গ্রাম
অল্প পরিমান নুন
কড়াই ১টি
কাঠের বড় হাতা
পরিস্কার খাওয়ার জল
কাঁচের বড়ো জার


কিভাবে কাঁচা আমের জেলি তৈরী- করবেন------
প্রথমে কাঁচা আমের খোসা ছাড়িয়ে ভালো করে ‌পরিস্কার
জলে ধুয়ে ফেলুন।
এবার আম গুলো আঁটি বাদ দিয়ে ‌টুকরো টুকরো করে কেটে নিন।
এবার একটা কড়ায়‌ ‌‌ ১ লিটার জল নিয়ে গ্যাস ওভেনে
বসিয়ে গ্যাস ওভেনের পাওয়ার হাই করে জলকে ফুটটে দিন।
এবার এই ফুটন্ত গরম জলে আমের টুকরো গুলো দিয়ে দিন।
এই ফুটন্ত ‌গরম জলে আমের টুকরোগুলো সাথে অল্প পরিমান নুন মিসিয়ে ১০- ১৫ ‌মিনিট ফুটটে দিন।
এরপর গ্যাস ওভেনে থেকে আমের টুকরো গুলো নামিয়ে নিন।
১ ঘন্টা ‌ঠান্ডা করতে দিন।
এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জল থেকে ‌আমের টুকরো গুলো
আলাদা ‌করে নিন।
এবার আলু‌ সেদ্ধ যে ভাবে মাখায়, সেই ভাবে আম সেদ্ধ কে
আলু সেদ্ধর‌ মতো মাখিয়ে নিন।

এবার গ্যাস ওভেনে  একটি ‌কড়া বসিয়ে তাতে ৫০০ গ্রাম
জল নিয়ে জলকে ফুটটে দিন।
এবার এই ফুটন্ত জলে  ৫০০গ্রাম চিনি মিশিয়ে দিন।
ঘন- ঘন নাড়তে থাকুন,  দেখবেন চিনি যেমন কড়ায় না বসে যায়।
এবার এই ফুটন্ত জল ও চিনির মিশ্রণে আম সেদ্ধ মাখা মিশিয়ে দিন।
ঘন-ঘন নাড়তে থাকুন, দেখবেন যেন‌ পুড়ে না যায়।
এবার এই মিশ্রণটি ঘন ঠকেঠকে জেলির মতো হয়ে এলে গ্যাস ওভেন থেকে কড়া নামিয়ে নিন।
৪-৫ ঘন্টা ‌ঠান্ডা করতে দিন।
এবার আপনার কাঁচা আমের ‌জেলি খাওয়ার জন্য তৈরী।
আপনি নিজেও খেতে পারেন বা কাউকে খাওয়াতে পারেন,
অথবা কাঁচের জারে ভরে বিক্রি করতে পারেন।
-------------------------------------------------------------------------------
বিঃদ্রঃ ---- আশা করি আপনারা সবাই আমার থেকে অনেক ভালো আচার তৈরি করতে পারেন।
তবে আমার রেসিপিটা ফলো করে দেখবেন।
-----------------------------------------------------------------------------

            ‌‌ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
                     নমস্কার 🙏
                    ইতি সমীর-------✍️
🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀🌀
আমার এই ব্লগে নানান রকমের স্মল বিজনেস আইডিয়া নিয়ে অনেক গুলো আর্টিকেল লিখেছি।
আপনি পড়তে চাইলে ‌গুগল সার্চ বারে টাইপ করুন
 👉 blogger/samir.blogpost.com
অথবা 👉allsamir.blogpost.com
আমার ব্লগের লেখা ‌গুলো পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন।
আপনাদের মূল্যবান মতামত এর আশায় রইলাম।
________________________________________________
৫, ০০০ থেকে ২০, ০০০ টাকা ইনভেস্ট করে স্মল বিজনেস আইডিয়া নিয়ে অনেক গুলো আর্টিকেল লিখেছি।
স্মল বিজনেস সমন্ধে আপনার কিছু জিজ্ঞাসা থাকলে আমাকে ই-মেইল করতে পারেন
আমার ই-মেইল 👉 mondal1100mondal@gmail.com
আমি বিনামূল্যে আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

 




Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...