Skip to main content

টানা-পোড়েন

 াাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাাআজকে আমার এই লেখা টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, তাই এই গল্পের , কোন নাম বা চরিত্রের সাথে , যদি কিছু মিল  থাকে
তাহলে সেটা আমার অনিচ্ছাকৃত।
কাউকে ছোট বা আঘাত করার জন্য , আমার এই গল্পটি লেখা নয়। তবুও যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন। তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত
                                        ----------সমীর✍️
      আজকের গল্প-----টানা পোড়েন
    ‌‌    ‌           রচনা------সমীর


আজকে আমি লিখছি --শান্ত  , নম্র- ,ভদ্র , সেই  অতনুর ‌কখা--।
এই দেখুন অতনুর পরিচয়টা আপনাদের দেওয়া হয়নি।
অতনু আমাদের পড়ার ছেলে। আমাদের পাড়ায় ঢুকেই ,
বাঁদিকের ঠিক তিনটি বাড়ির পড়েই। যে গোলাপী বাড়িটা
ওটাই অতনুর বাড়ি।
অতনু লো -ইয়ার , মাএ কয়েক বছর ‌ হলো‌কোর্টে ওকালতি প্র্যাকটিস করছে। মাত্র কয়েক বছরেই --- ,ওর বেশ ভালো প্রসার হয়েছে। 
অতনু তার এই  সাফল্যে খুশি হলেও , দুঃখ একটা তার আছে। সেটা হলো তার এই  সাফল্য , তার বাবা দেখে যেতে পারেননি।
কয়েক মাস হল , অতনুর বিয়ে হয়েছে । মা আর স্ত্রী কে নিয়েই তার
ছোট্ট সুখের সংসার।
কিন্তু এই কয়েকদিন হলো তাদের এই সুখের সংসার টায়--
অসুখ করেছে।
 সেটি নিয়ে আজকের এই লেখা টি -----
প্রতিদিনের মত কোর্ট থেকে ‌বাড়ি ফিরে , জামা কাপড় খুলে ,
হাতমুখ ধুয়ে , চেয়ারে শরীরটাকে একটু এলিয়ে দিয়ে জিরিয়ে নিতে বসেছে। আর ঠিক তখনই , এক কাপ চা
তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে তার স্ত্রী তাকে বলে।
তোমাকে আগেও বলেছি ‌, আর আজকে শেষবারের মতো বলছি। আজকে যদি তুমি না এর একটা বিহিত করো।
তাহলে কালকে কিন্তু আমি , তোমার বাড়ি ছেড়ে আমার বাপের বাড়ি চলে যাব।
অতনুর তাকে থামিয়ে দিয়ে বলে----, আরে থাক না ওসব কথা। অতনুর স্ত্রী বলে ওঠে , থাকবে মনে-, কেন থাকবে--?
আরে বাবা আমি তো তোমাকে বললাম দেখছি।
অতনুর এই কথা শুনে ওর স্ত্রী বলে ঠিক আছে। তবে আমি
যা বললাম ,‌ সেটা যেন তোমার মনে থাকে , আর না হলে
আমি তো বলেই দিয়েছি। কাল সকাল হলেই , এই বাড়ি ছেড়ে আমি  আমার বাপের বাড়ি চলে যাব।
এই বলে অতনুর‌ স্ত্রী তার ঘরে চলে গেল।
অতনু চেয়ারে বসে , তার স্ত্রীর দিয়ে যাওয়া চায়ের কাপটার
দিকে চেয়ে রইল। তখনও সেই চায়ের কাপ থেকে গরম বাষ্প
ধূমায়িত হচ্ছে। অতনু সেদিকে চেয়ে , ভাবতে লাগলো , আমার এই সুখের সংসার টায় । হয়তো এখনো আগুন লাগেনি,
 তবে সংসার টা থেকে , ওই গরম চায়ের মত , একটা গরম বাষ্প ধুমায়িত হতে শুরু করেছে।
কিন্তু কি করবে সে এখন‌---? কি করার আছে এখন তার----?
ঠিক এমন সময় তার মা এসে তাকে বলেন। অতনু এবার তুই আমাকে একটা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে দিয়েআয়। তাতে করে তোরাও সুখে থাকবি , হয়তো বা আমিও----------
অতনু তার মাকে বলে , মা তুমি বসো , আমি বলছি কি-----
না , অতনু আর কোন কথা বলা হলো না-----
অতনুর  কোনো কথা বলার আগেই। অতনুর মা সেখান থেকে চলে গেলেন তার ঘরে।

শাশুড়ি বৌমার এই দ্বন্দ্ব আজ প্রায় সবার ঘরে ঘরে।
শাশুড়ি বৌমার এই দ্বন্দ্ব আজ আদালতে ‌পৌঁছে যাচ্ছে।
অতনু নিজে এরকম দ্বন্দ্বের কত শাওয়াল করেছে।
কিন্তু আজ কি শাওয়াল করবে অতনু-----?
এই এরকম সমস্যা কত সহজেই অতনু সমাধান করে
 দিয়েছে।
কিন্তু আজ তার নিজের বাড়ি এই সমস্যা তাকে এক বড়
চ্যালেঞ্জের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।
কি সাওয়াল করবে অতনু --- ? কার হয়ে সাওয়াল করবে অতনু---?
তার মা তাকে কত কষ্ট করে বড় করেছে  , মানুষ করেছে।
কাজেই যত দোষ মায়ের থাক না কেন। মাকে সে দূরে সরিয়ে দিতে পারবেনা। কিছুতেই না----, কি ছু তে ই  না-------
অপরদিকে তার স্ত্রী , যাকে সে বিবাহ করে বাড়িতে এনেছে
তাকেও সে পারবে না সরিয়ে দিতে ,‌ না , অতনু তা পারবে না।
এসব ভাবতে -- ভাবতে , অতনুর কপালের দুপাশ ব্যথা করতে লাগলো , তীব্র মাথার যন্ত্রণা শুরু হলো অতনুর।
অতনু তার মাথাটা , তার দুই হাতে চেপে ধরে।
দুয়ারে পায়চারি করতে লাগলো। ভাবতে পারছে না,
কিছুই ভাবতে পারছে না সে এখন কি করবে------?
তার মাথার যন্ত্রণাটা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে লাগলো।
তার মনে হতে লাগলো , এক্ষুনি বুঝি তার মাথার শিরাগুলো
ফেটে , ফিনকি দিয়ে রক্ত বাইরে বেরিয়ে আসবে।
এমন সময় অতনু একটু হাসির শব্দ শুনতে পেল।
অতনু বলল কে এরকম রকম করে হাসছো তুমি---?
অদৃশ্য কন্ঠে উত্তর এলো , আমি তোমার ভিতরের আমি।
চিনতে পারলে না তো--? আমি তোমার বিবেক---
অতনু অদৃশ্য সেই কণ্ঠস্বরের উদ্দেশ্যে বলল।
 কি চাও তুমি---?‌ কেন এসেছ তুমি---?
অদৃশ্য কণ্ঠ আবার বলে উঠলো। আজ দেখতে এলাম তোমাকে। আদালতে দাঁড়িয়ে তুমি এরকম অনেক, শাশুড়ি বৌমার দ্বন্দ্বের ‌সমস্যার সমাধান তুমি অতি সহজেই করে দিয়েছো। আর আজ সেই তুমি , তোমার নিজের বাড়ির শাশুড়ি বৌমার এই দ্বন্দ্বের সমাধান  করতে পারছ না।
এই বলে অদৃশ্য কণ্ঠ ,‌ আবার হেসে উঠলো।
অতনু অদৃশ্য কন্ঠের উদ্দেশ্যে বলল । তোমার হাসি থামাও
তুমি জানো আমি কি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি।
অদৃশ্য কন্ঠ বলে উঠল , কঠিন----?
এত সহজ- সরলটাকে তুমি কঠিন বলছো---?
অতনু রেগে অদৃশ্য কন্ঠের উদ্দেশ্যে বলল----, এরকম একটা জটিল পরিস্থিতিতে তুমি , সহজ সরল বলছো---?
অদৃশ্য কন্ঠে বলে উঠল , সহজ কে সহজ বলবে না তো কি।
অতনু অদৃশ্য কন্ঠের এই কথা শুনে , রেগে উঠে বলল।
এই সমস্যার সমাধান আছে তোমার কাছে-----? 
অদৃশ্য কন্ঠ বলে উঠলো অবশ্যই আছে------
অতনু এবার বলল , বলতো এই সমস্যার সমাধান কি--?
অদৃশ্য কন্ঠে বলল , যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য
সবার আগে। সমস্যাটার গভীরে ঢুকে যেতে হবে।
তুমি আদালতে দাঁড়িয়ে , এতদিন শাশুড়ি -বৌমার দ্বন্দ্বের
 যে সাওয়াল করেছো। সেখানে তুমি একজন লো -ইয়ার
হয়ে সাওয়াল করেছো। সেখানে তোমাকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য। আইনের ওই মোটা মোটা বই থেকে,
অনেক ধারা খুঁজতে হয়েছে।
কিন্তু তুমি যদি একজন , সাধারণ মানুষ হয়ে , একটি যুক্তিবাদী মন নিয়ে এই সমস্যার গভীরে ঢুকতে।
তাহলে জানতে পারতে , শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে কেন
দ্বদ্ন্ব চলে।
অতনু মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই অদৃশ্য কন্ঠের কথাগুলো শুনতে শুনতে। অনুভব করল তার ভারী হয়ে যাওয়া মাথাটা।
ক্রমশ যেন  হালকা হয়ে আসছে। তার মাথার তীব্র যন্ত্রণাটা যেন আস্তে আস্তে কমে আসছে।
অতনু অদৃশ্য কন্ঠকে  জিজ্ঞাসা করল। শাশুড়ি আর বৌমা দের মধ্যে কেন এই দ্বন্দ্ব  লেগে থাকে----?
অদৃশ্য কন্ঠে বলল , তাহলে বলছি শোনো-----
আসলে শাশুড়িরা ভাবেন , এতদিন ধরে তার যত স্বপ্ন , আশা
সে গুলোকে পরম যত্ন ও ও মমতা দিয়ে। তিনি সাজিয়ে তুলেছেন এই সংসার টিকে।
তাই বৌমার এসে তার এতদিনের , এত পরম মমতা যত্ন দিয়ে সাজিয়ে রাখা , স্বপ্নগুলোকে যদি নষ্ট করে দেয়। সেই ভয়ে
শাশুড়িরা কেউ তার সংসারের রাশ । বৌমাদের হাতে ছাড়তে চান না।
আর‌ ঠিক অপরদিকে , বউমারা চান এই সংসারটা এবার‌
সে তার নিজের মত করে ‌ সাজিয়ে তুলবে।
এতদিনের এ সংসারে যা কিছু পুরনো , তার সব সরিয়ে দিয়ে
বউমারা তার নিজের মত করে।  পরম যত্ন ও মমতা দিয়ে সাজাতে চায়‌ তার যত স্বপ্ন আশা ।
আর এই নিয় শাশুড়ি আর বৌমাদের  মধ্যে দ্বদ্ন্বের শুরু।
অতনু অদৃশ্য কন্ঠের কথা শুনে বলে । ঠিক , একেবারে ঠিক বলেছো তুমি।
অতনু  অদৃশ্য কন্ঠকে বলল , তাহলে ‌এই সমস্যা সমাধানের উপায়।
অদৃশ্য কণ্ঠ বলে , খুবই সহজ----
শাশুড়ি আর বৌমা কে , যদি মুখোমুখি বসিয়ে। আমরা যদি তাদের বুঝাতে পারি। এই সংসারটা তাদের দুজনের,
একেবারে সমান সমান। তাই এই সংসারের যাবতীয় যা 
যা কিছু কাজ , তা যদি দুজনে একে অপরকে বলে করে।
একে অপরে পরস্পর একসাথে আলাপ-আলোচনা করে করে। তাহলে কোন সমস্যা সমস্যাই নয়।
এবং  শাশুড়ি আর বৌমাদের এই‌ দ্বদ্ন আর থাকিবে না।
অতনু বলে তোমার কথা একেবারে ঠিক।
অদৃশ্য কন্ঠ বলে ‌, তুমি  কি‌ বিশ্বাস করো  আমার এই কথাগুলো ঠিক---?
অতনু বলে হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি----
তাহলে যাও -----, এখনি তুমি তোমার মা এবং স্ত্রী কে 
মুখোমুখি বসিয়ে । এই কথাগুলো তাদের বোঝাও।
দেখনা সমস্যার সমাধান হয় কিনা ।
অদৃশ্য কণ্ঠ কে উদ্দেশ্য করে , অতনু বলে তুমি ঠিকই বলেছ।
আমি এক্ষুনি আমার মা এবং স্ত্রীকে , মুখোমুখি বসিয়ে এই কখা‌গুলো তাদের  বলি।
এই বলে অতনু তার মা ও স্ত্রীকে ডাকতে চলে গেল।
অদৃশ্য কন্ঠ যেন‌  হারিয়ে গেল কোথায়----
অতনু অদৃশ্য কন্ঠের নির্দেশ মতো‌ তার মা‌ ও স্ত্রী কে 
মুখোমুখি বসিয়ে সেই কথাগুলো বলল।
বলা বাহুল্য অতনুর মা এবং স্ত্রী অতনুর বলা কথাগুলো।
মন দিয়ে শুনলে। শুধু তাই নয় , তারা অতনুকে কথা দিল
এবার থেকে তারা , অতনুর কথা মতোই , একে অপরের সাথে আলোচনা করে সমস্ত কাজ করবে। 
এবং এখানে উল্লেখ করা ভালো , আজ অবধি  অতনুদের
সংসারে শাশুড়ি ও বৌমার মধ্যে  আর 
কোনোদিন টানাপড়েন হয়নি।
সুখেই আছে এখন অতনুরদের সংসার।
****************************************************অতনু পেরেছে তার সংসারে শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে
এই টানাপোড়েনের ‌ সমস্যা সমাধানের।
কিন্তু আমরা কি পারবো ----?
আমরা‌ কি পারবো ----? আমাদের এই সংসারে 
শাশুড়ি আর বৌমার মধ্যে‌ টানাপোড়েন ‌ বন্ধ করতে ?
****************************************************
                           নমস্কার  🙏
 বাড়িতে থাকবেন‌,‌ ভালো থাকবেন 
আমার এই লেখাটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে জানাবেন। আপনার মূল্যবান মতামতের আশায় রইলাম ।
************************************************** ্লো্ল্লো্্লো্ল্লো্লো্লো্ল্লো্্্লো্ল্লো্ল্লো্্লো্ল্লো্লো্লো্ল্লো্্্















 










Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...