সুপ্রিয় ,
সন্মানিত পাঠক
আপনারা সবাই কেমন আছেন----?
আমি সর্বদা কামনা করি আপনারা সবাই ভালো থাকুন।
হ্যালো মাই ফ্রেন্ডস
আমি সমীর✍
আর আপনারা পড়ছেন আমার Blog🖥
বন্ধুরা আপনারা আজকের আমার ব্লগ লেখার শিরোনাম দেখে নিশ্চয় একটু অবাক হয়েছেন---?
* অর্ধেক জীবন *
অর্ধেক জীবন ----?
অর্ধেক জীবন আবার হয় না কি----?
জানি, আমিও জানি ,অর্ধেক জীবন হয়না------
আসলে কি বলুন তো
নিজের, সম্পর্কে নিজে কিছু লিখতে গেলে
পুরোটা লেখা যায় না।
কারন----
আমি আমার ভিতরে যা কিছু , যতোটা অনুভব করি,
ঠিক তটোখানি আমার বাইরের যা কিছু অনুভব করতে পারি না,
ঠিক যতোটা আপনারা পারেন।
আবার আপনারা, আমার বাইরের যতোটা দেখেন বা দেখতে পান।
ঠিক ততোটা আপনারা আমার ভিতরের অনেক কিছুই দেখতে পান না।
তাই আমার ,
কিংবা আপনার ,
আমাদের কারো পক্ষে ভিতর ও বাহির দুই দেখা
বা দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়।
ঠিক যেমন আমাদের মাথার উপর আকাশের
আমরা কেবলমাত্র একটি দিক দেখতে পাই।
ওপর দিক , আমরা কখনো দেখতে পাই না।
বা পুরো ⛅আকাশটা আমরা কখনো দেখতে পাই না।
সর্বদা আমরা অর্ধেক আকাশ দেখি,
তাই না------
ঠিক তেমনি কারো পক্ষে জীবনের পুরোটা দেখা সম্ভব নয়।
অন্তত, আমার তো তাই মনে হয়।
আমি আমার জীবনের, সমপূর্ণ জীবন কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
তবে অর্ধেক টা ----
বাকি অর্ধেক টা লিখবেন আমার সুধী গুনি পাঠক,
আমার কোন বন্ধু, বা আমার কোন একান্ত কাছের আপন জন। হয়তো বা 👉আপনি------
তাই আমার আজকের ✏️লেখার শিরোনাম
দিয়েছি * অর্ধেক জীবন*
💥প্রথম পর্ব💥
মাথার উপর আকাশটার দুটি ভাগ
আমরা কেবল একটি দিক দেখতে পাই-------
আকাশের ওপর দিক বা উল্টো পিঠ
আমরা দেখতে পাই না।
আমারা সবাই তাই অর্ধেক ☁আকাশ দেখি।
তাই না----?- ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
ঠিক তেমনি
জীবনের দুটি ভাগ-----
১। জন্ম থেকে মৃত্যু একটি ভাগ
আর
২। মৃত্যুর পর একটি ভাগ
যেহেতু আমি আমার জীবন কাহিনী,
আমার জীবত দশায় লিখছি।
তাই এই লেখা✏️ হবে অর্ধেক-----
বাকি অর্ধেক আমার মৃত্যুর পর, হয়তো বা
আপনারা কেউ লিখবেন।
হয়তো লিখতে পারেন 👉 আপনি ও
হতি 🐘 শালে হাতি, ঘোড়া 🐎 শালে ঘোড়া--
না থাকলে ও
গোলা 🙌 🌾ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু🐄🐄
ছিল।
তাই সোনার 🥄 চামচ মুখে নিয়ে না জন্মগ্রহণ করলেও, এমন এক পরিবারে আমার জন্মগ্রহণ হয়েছে।
যাতে করে দুধে- ভাতে 'র অভাব ছিল না।
জন্ম হয়েছে মহান পূণ্যভূমি ভারতের, পশ্চিমবঙ্গের, অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলায়।
বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার, এক গ্রামে।
আমাদের পরিবারের বেশ কয়েক বিঘা জমি ছিল,
লাল, কমলা, সাদা, কালো ,রঙের গরু ছিল।
আর 🐟🐠🐋🐟মাছ ভর্তি একটি পুকুর🏊 ছিল। তাই 👑রাজা, বা জমিদারদের ঘরে আমার জন্ম
না হলে ও, নেহাত খুব একটা খারাপ পরিবারের
আমার জন্ম হয় নি।
তবে সে সকল আজ ইতিহাস, কেবল অতিত মাএ-
এখন আর না আছে গোয়ালে গরু, না আছে গোলা
ভর্তি ধান।
ঠিক বাংলা প্রবাদের মতো,
তাল পুকুর আছে-
তাতে ঘটি ডুবে না।
তাই এখন নুন আছে তো , পান্তা নেই-------
ঠাকুমার মুখে শোনা ছোট বেলায়, আমি নাকি বেশ নাদুস- নুদুস ছিলাম। বালাংয় যাকে লোকে বলে
গুলি - গাট্টাগোট্টা-
তবে আমার চেহারা ও এখন অতিত, ইতিহাস ----
জানি প্রশ্ন করবেন -----?
জানতে চাইবেন নিশ্চয়ই ---?
এখন আমার চেহারা 👤 কেমন----?
তাহলে বলছি ----, বর্তমানে আমার চেহারা
দেখে, আমাকে কেউ জীবন্ত কঙ্কাল বললেও
খুব একটা ভুল হবে না।
কারন ছোটবেলার সেই গুলি - গাট্টাগোট্টা চেহারা
এখন মেদহীন , মাংসহীন , কেবল শরীরের হাড় গুলির উপর চর্মদ্বারা আবৃত মাএ।
তাই বর্তমানে আমাকে জীবন্ত কঙ্কাল বলা চলে।
ছোট বেলা থেকে আমি লেখা- পড়ায় খুব যে ভালো ছিলাম এমনটা নয়।
তবে মাথা মোটা, বা গাধা যে ছিলাম না
তা বেশ হলফ করে বলতে পারি।
লেখা-পড়ায় আপনাদের মতো উওম কখনো
ছিলাম না , তা নিদ্বাধায় স্বিকার করছি।
আবার ওনাদের মতো অধম যে ছিলাম না
তা উচ্চস্বরে বলতে দ্বিধা নেই।
মানে লেখা✏️ পড়ায় , আমি ছিলাম মধ্যম মানের। তা সত্ত্বেও লেখা-পড়া আমি বেশি করতে পারি নি।
কারন অভাব, চালুনির ছিদ্রের মতো ছিল আমাদের সংসারে অভাব,
অভাব ছিল ভাতের, অভাব ছিল অর্থের, অভাব ছিল আরো অনেক কিছুর-----
তাই কোনক্রমে টেনে-টুনে, টেন উঠেই ,
ট্রেনে উঠতে উঠলো।
অর্থাট ক্লাস টেনের পড়ার পর, ট্রেন উঠে বসলাম
বোম্বের উদ্দেশ্যে,
বর্তমানে যা মুম্বাই---
কাজের খোঁজে, ভাগ্য যাচাই করতে, সুখের অন্নেশনে------
কিন্তু বিধি বাম --------
মুম্বাইয়ে আমার হলো না কিছু ,
মুম্বইয়ে কিছু করতে আমি পারিনি------
কাথায় আছে নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে
আমার ক্ষেত্রে এই কথাটি বোধ হয় কাজ করে ছিল।
তবে মুম্বাইয়ে কিছু না করতে পারলেও অনেক কিছু দেখেছি-----
মুম্বা দেবির মন্দির🕌,
মহা লছমির মন্দির,
গেট ওফ ইন্ডিয়া ( মুম্বাই),
মারোয়াড়ী হিল,
জুহুরি বাজার,
সন্ধ্যায় মুম্বাই সুন্দরীদের
ভিড়ে ভরা লেডিস মার্কেট -----
আর---------
আর , দেখেছি লাল- নীল , নিওন আলোর নিচে
রোগা- মোটা, ফর্সা- কালো, বেঁটে- লম্বা,
বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের দাঁরিয়ে থাকা
সেই মুম্বাইয়ের নিষিদ্ধ পল্লী, সেই নাকা পাড়া-------
তবে খারাপ উদ্দেশ্যে নয়, বিশ্বস করুন।
অজান্তে ,একান্ত অজান্তেই---
একদিন একটা ছেলে যখন বললো
চল তোকে একটা নতুন জিনিস দেখাবো।
সেই ছেলেটার কথায় , নতুন কিছু দেখার আশায়,
ওর সাথে সেই পাড়ায় গিয়ে ছিলাম- শুধু অজান্তে
তাও কয়েক সেকেন্ড।
কারন সেই পাড়ায় গিয়েই আমি সঙ্গে-সঙ্গে বুঝতে
পারি, এটা সেই জায়গা, যে জাগায় আমায় কখনো যেতে নেই-----
আসলে আমি কষ্ট পেতে রাজি, কিন্তু নষ্ট হতে নয়--
তাই সাথে সাথে সেই স্হান ত্যাগ পরিত্যাগ করেছিলাম।
বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে আমি মুম্বাই গিয়ে ছিলাম।
আর ফিরে এলাম আমি ,
বুকভরা স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্ত্রনা নিয়ে --------
আমার প্রিয় গ্রামে-------------
ক্রমশ--------------------চলবে
__________________________________________
এরপর👉 দ্বিতীয় পর্বে--------
__________________________________________
সুপ্রিয় সন্মানিত পাঠক আমার ব্লগের আরো লেখা✏️ পড়তে চাইলে
লক অন করুন 👇
👉https: //www.allsamir.blogpost.com
________________________________________
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
নমস্কার 🙏
ইতি আপনাদের ভালোবাসার সমীর___✍
* অর্ধেক জীবন *
❤ দ্বিতীয় পর্ব ❤
পুনশ্চ --------বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই গিয়ে ছিলাম।
আর ফিরে এলাম বুকভরা স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্তনা নিয়ে।
ফিরে এলাম আমার প্রিয় গ্রামে, যে গ্রামের মাটিতে আমার জন্ম, আমার বড় হয়ে ওঠা,যে গ্রামের মাটির গন্ধ আমার সারা গায়ে মাখা , যে গ্রামের গন্ধ আমার প্রতি টি শ্বাসে, আমি অনুভব করি,
ফিরে এলাম আমার জন্মদাত্রী মায়ের মতো, একান্ত আপন, আমার প্রিয় সেই গ্রামে-------
শুরু হলো ভাগ্য পরিবর্তনের আর এক লড়াই।
শুরু হলো জীবনের আর এক অধ্যায়----------
শুরু করলাম চাষ- আবাদ, অন্য লোকের চাষের
জমি লিজে নিয়ে, শুরু করলাম চাষ-------
রুক্ষ, শুক্ষ, মৃতিকা কর্ষন করে, একটি জীবন্ত
প্রানের সঞ্চার করা।
পৃবেই বলেছি আমার জন্ম গ্রামে, আমাদের গ্রামের
দুই - একজন ছাড়া, সবাই চাষ করে, এটাই তাদের একমাত্র জীবিকা।
আমি খুব কাছ থেকে তাদের বীজতলা, বীজবোপন, চারা গাছ🌳 রোপন সব কিছুই দেখেছি।
কাজেই ভেবে ছিলাম চাষের কাজ করাটা তেমন
কোন ব্যাপার নয়।
কিন্তু যখন নিজে চাষ করতে লাগলাম, তখন বুঝলাম। চাষ করা বা জমিতে ফসল ফোলানো
খুব সহজ কাজ নয়।
ফসল ফলাতে সমস্ত শরীরের রক্ত, ঘাম হয়ে টুপটুপ করে ঝড়ে পড়ে। কাজেই জমিতে ফসল
ফোলানো সহজ কাজ নয় মটেই।
আমার কাছেতো নয় ----
যাদের পূর্ব পুরুষ কোনো দিন চাষ করে নি,
সেই পরিবারের ছেলে আমি কখনো চাষ করতে
পারি।
তাই দু - কোদাল মাটি কোপ মারার পর হাঁপিয়ে
উঠি।
কিন্তু অভূক্ত পেটে, খিদের গোঙ্গানি আবার আমাকে কোদাল কোপাতে বাধ্য করে।
এমনি করে , একটু - একটু করে একদিন আমি ও
চাষ করতে শিখে গেলাম।
শিখে গেলাম বললে ভুল হবে।
আসলে পরিস্থিতি অনেক সময় আমাদের অনেক
কিছু শিখিয়ে দেয়।
আমার ক্ষেতরে ঠিক তেমনি, পরিস্থিতি আমাকে
বাধ্য করে ছিল।
এছাড়া সেই সময় কি আর করবার ছিল আমার--
বৈশাখের চড়া ☀️রোদে পুড়ে, জৈষ্ঠর হাঁসফাঁসনি
গরমে হাঁসফাঁস করতে - করতে, আষাঢ়ের ঝিমঝিম ☔💦 বৃষ্টিতে ভিজে চাষ করতে - করতে
ঘামাক্ত , রিক্ত ,কালন্ত হয়ে পড়তাম আমি🙋
আবার আমার নিজের ✋হাতে ফলানো ফসল
দেখে ,আনন্দে , খুশি তে মন ভরে উঠতো।
কবির কথায় - সৃষ্টি সুখের উল্লাসে
সত্যি যখন কনো কঠিন, কঠোর পরিশ্রম করার
পর যখন সাফল্য আসে, তখন সত্যি সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মন আনন্দে ভরে ওঠে।
বাবার যৎসামান্য রোজগার, আমার চাষের ফসল,
এই দিয়েই আমার 👩 মা , কোনক্রমে আমাদের
সংসারটা চালিয়ে নিতেন।
এই ভাবেই চলছিলো আমাদের সংসার, চলছিলো
আমার জীবন------
এমনি করেই কখন যে ৩০টি বসন্ত আমার জীবনে
পার হয়ে গেছে। তার খেয়াল আমি রাখিনি।
আমি খেয়াল না রাখলে কি হবে------
আমার বাবা, মা তারা ঠিক খেয়াল রেখেছিল।
তাই তারা দুজনে ঠিক করলেন যেহুতু আমি ৩০ টি বসন্ত পার করে ছিল। তাই আমার এবার বিয়ে দেওয়া দরকার।
তারপর খোঁজা - খুজি করে , এক পাত্রী দেখে
তার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দিলেন।
এরপর আমার বিয়ে হয়ে গেলো, যদিও আমার বিয়ের সে কখাটা সেই সময়-------
সেই মূহুর্তে আমি আপনাদের জানাতে পারিনি। তার জন্য। আমি সত্যিই আন্তরিক ভাবে
দুঃখিত, লজ্জিত বটে তার জন্য আমি আপনাদের
সবার কাছে মাফ🙏 চেয়ে নিচ্ছি ------
আশা করি আপনারা আমাকে ক্ষমা ভিক্ষা দেবেন।
কি বলেন -------?
৩০ টি বসন্ত পার হয়ে গেল -----------
তার মধ্যে প্রেম , মানে লাভ, মানে ভালোবাসা
এসে ছিল কিনা------?
অর্থাৎ আমি কাউকে ভালোবেসে ছিলাম কি না -?
অথবা কোন মেয়ে আমাকে প্রোপজ করে ছিল না-?
সে কথা জানতে ইচ্ছা করছে বুঝি ------?
তাহলে বলছি ------------------
__________________________________________এরপর তৃতীয় পর্ব পড়ুন
__________________________________________
বন্ধুরা 👭👬👫 আমার ব্লগের আরো লেখা✏️
পড়তে চাইলে লক অন করুন 👇
👉https: //www.allsamir.blogpost.com
__________________________________________
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন
নমস্কার🙏
ইতিহাস আপনাদের ভালোবাসার সমীর___✍
Comments