Skip to main content

মোবাইল প্রেম

এই গল্পটিতে  একটি প্রেমের অনুভূতি লেখনির মাধ্যমে 
 আঁকটে চেষ্টা করছি--------------✍️
------------------------------------------------------------------------------

এই গল্পটি ‌‌‌‌আমি আমার অত্যন্ত কাছের , আমার একান্ত আপনজন , যে এক দিকে আমার ভাতৃসম , আমার অতি কাছের বন্ধু , এমনি কি সে আমার নেট গুরু , যার হাত ধরে আমার নেট দুনিয়ার ✋ হাতে খড়ি , ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌সেই‌‌  শ্রীমান ‌‌‌‌‌‌‌সুমন কে‌ উৎসর্গ করলাম।

--------------------------------------------------------------------------------
গল্পের নাম ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌------  মোবাইল প্রেম
রচনা --------------- সমীর 
ভিতু আমি নয় , আমাদের তিন পুরুষের সব চেয়ে বড় নারিকেলের গাছটা , যেটা প্রায় আকাশ ছুঁইছুঁই , সেই
গাছটায় আমি দু -চোখ বুজিয়ে অতি সহজেই মাএ ‌‌কয়েক সেকেন্ড সময়ে চড়ে বসতে পারি ।

বর্ষায় যখন আমাদের বাড়ীর সামনের নদীটার জল দুই কুল
ছাপিয়ে যায়‌ , প্রবল  জলস্ফীতি , যখন কেউ নদীটায় পা ডুবাতে সাহস করে না। তখন আমি অতি অনাসেই ওই নদীটার ওপার -- এপার হতে পারি।

আমাদের পাড়ার পন্চু কাকুর ছোট  ছেলে ছোটু ,
যার বয়স আমার কাছাকাছি ,  আমার চেয়ে যার 
শরীর - স্বাস্থ্য  বড়া -বড়  ভালো , যে নিয়ম করে
দুই বছর জীমে  যাচ্ছে , সেই পন্চু কাকুর পালোয়ান 
 ছোট ছেলে কে  ,  সে  বার আমাদের পাড়ার সবার 
সামানেই , কেবলমাত্র আমার বাঁম হাত দিয়েই‌ , তাকে নিমিষেই ধরাশায়ী করে ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ মাটিতে ফেলে দিয়ে ছিলাম।
কাজেই আমি মোটেই ভিতু নই  , সে কথা বুক ফুলিয়ে
বলা চলে।


 কিন্তু তোমাকে ভালোবাসি এই কথাটা তোমার সামনে
এসে‌ বলতে পারার সাহস বা বুকের পাটা কোনটাই আমার নেই । আর তাই ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ গুগোলে সার্চ করে  অনেক কষ্টে তোমার
ফোন‌ নাম্বার 👉 ☎️  পেয়েছি।
তাই আজ ম্যাসেজ করে বিদিশা আমি তোমাকে আমার
মনের মধ্যে জমে থাকা কথাগুলো বলতে ‌‌‌‌‌চাই ।
যে কথা গুলো এতদিন  ডেলা পাকিয়ে আটকে আছে
আমার বুকের ভিতর।
হয়তো তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে , এত দিন যখন এই
কথাগুলো তোমাকে বলিনি। তাই আজ হঠাৎ করে কেন
 বলা ---?
আজ  ও আমি বলতে চাইনি , কিন্তু কি যেন বিদিশা , বেশ কয়েক দিন ধরে নিজের সাথে , নিজের দন্ড চলছে।
যার এক দিকে  বাইরের আমি , আর যার এক দিকে ভিতরে
আমি । এই দন্ড যুদ্ধে ভিতরের আমির কাছে ‌, বাইরের 
আমির‌‌ হার হয়েছে।
ভিতরের আমিটা বললো , তুমি সত্য গোপন করবে ?
তুমি জানো সত্য গোপন করা অপরাধ। 
তখন আর পারলাম না জানো বিদিশা , তাই আজ অপরাধের
হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে , আজ তোমাকে সত্যিটা জানতে চাই। যদিও তা ফোনে , তাতে  কি  , সত্যি , সত্যিই ,তা সে যে ভাবেই ‌‌‌‌‌‌‌‌প্রকাশ হোক না কেন ? ঠিক কিনা বলো ? 
বিদিশা তোমাকে আমি ভালোবাসি ---------
 তোমাকে আমার খুব-খুব -খুব ভালো লাগে।
এই এবছর সরস্বতী পূজোর দিন , তুমি যে শাড়িটা পড়ে
 ছিলে , কি শাড়ি অবশ্য আমি জানি না ,‌ আর জানবোই
বা কি করে বলো ? আমি না কোনদিন শাড়ি পড়েছি , আর না কোনদিন শাড়ি কিনেছি ।
তবে লাল‌পাড় , হলুদ রং এর শাড়িটা সেদিন 
তোমাকে সুন্দর থেকে --------
আরো বেশী সুন্দরতর , আরো বেশী সন্দুরতম করে তুলেছিলো।

তুমি যখন সেই লাল পাড় , হলুদ রং এর শাড়িটা পড়ে , তোমার বন্ধুদের সাথে কলেজে ঢুকছো , তখন‌ আমি আর
আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে  , কলেজের গেটের ঠিক সামান্য দুরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
তোমার পায়ের চলার ছন্দের সাথে - সাথে , তোমার পায়ের 👣 নূপুর , কেমন যেন এক সুন্দর ছন্দে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ বাজছিলো।
আর এই দিকে তোমার সেই নূপুরের ছন্দে ছন্দে , 
এক‌ অজানা ভয় , এক অজানা আনন্দে -------
 আমার মনটা নেচে উচেছিল ,‌‌‌‌ আর  আমার   হৃদয়টা  তখন   👉 ❤️ ভেঙে - ভেঙে পড়ছিলো।
এই কথা গুলো সরস্বতী পূজোর দিন , আমি তোমাকে অনেক বার  বলার চেষ্টা  করে ছিলাম।
গোলাপ কে যেমন ঘিরে রাখে তার কন্টক যুক্ত শাখা প্রশাখা ,
ঠিক সেদিন তোমাকে ও‌ ঘিরে রেখেছে ছিলো‌ ,
 তোমার বন্ধু সাথীরা।
আর তোমার সেই সব কন্টক ন্যায় বন্ধুদের মাঝে , তুমি এক ফুটন্ত 🌹গোলাপ হয়ে বিরাজ করছিলে সেদিন।
সে এক অপরূপ , রূপ - লাবন্য ভরা , মাধুর্য্য - মাধুরী , 
তোমার মধ্য‌‌ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিলো সেদিন।
বেশীক্ষন তাকিয়ে থাকতে পারিনি , তোমার দিকে ।
গল্প - উপন্যাসে পড়েছিলাম রূপের আগুন 🔥আছে , আর 
আজ সেই আগুন আমি নিজে চাক্ষুষ করলাম তোমার মধ্যে।
যে আগুন 🔥 সেদিন তোমার রূপ থেকে ঠিকরে পড়েছিলো।
তাই সেদিন বেশীক্ষন তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনি।
পাছে  ভোগবানের দেওয়া চোখ দুটি আমার  ,‌‌‌‌‌‌‌‌  তোমার ‌‌‌‌‌সেই রুপের  আগুনে🔥‌পুড়ে যায় , সেই ভয়ে।
সেই দিনের কথা গুলো , যা এতদিন আমার বুকে ডেলা পাকিয়ে ছিলো। আজ বিদিশা সেই কথা‌গুলো‌‌ ম্যাসেজে তোমাকে শেয়ার করলাম।
জানি ম্যাসেজ টা অনেক বড় হয়ে গেল , কিন্ত তুমি বিশ্বাস করো বিদিশা ,  তো‌মার কথা কি অল্পতে শেষ করা যায় ?
তবু আপাততো আজ এখানেই শেষ করলাম।
ভালো থেকো বিদিশা , খুব ভালো থেকো ।
আর হ্যাঁ  , শেষে আর একটা কথা তোমার‌ কাছে‌ আমার
বিদিশা , তুমি কি আমায় ভালবাসো -----?
আর তোমার রিপ্লাই টা যদি NO হয় ----------- 
তাহলে আমার প্রিয় শিল্পী নচিকেতা দার সেই বিখ্যাত 
গানটা -------------
এই তুমি কি আমায় ভালবাসো 
আর যদি না বাসো 
তবে  পরোয়া করি না -------------
গাইতে - গাইতে  আমি বিন্দাস কাটিয়ে দেবো।
গুড নাইট বিদিশা , অল দ্যা বেস্ট👍
------------------------------------------------------------------------------
                            নমস্কার 🙏
ভালো থাকুন আপনারা সবাই -----------
আর আমার ‌‌‌‌এই লেখা টি আপনাদের কেমন লাগছে
জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামত এর আশায় রইলাম।










Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...