সুপ্রিয় পাঠক ------
অনেক কষ্ট , অনেক সময় নিয়ে , এই লেখাটি আমি
আপনাদের জন্য লিখেছি । লকডাউনের এই দীর্ঘ সময়,
ঘর বন্দি থাকার দরুন , হয়তো এক ঘেঁয়েমি লাগছে।
এই গল্পটি একটু কষ্ট করে পড়ে দেখবেন।
আশাকরি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এই পল্পটি পড়ে , যদি কেউ ক্ষনিকের
আনন্দ পান। তাহলে আমার এত কষ্ট করে লেখা ও
শ্রম সার্থক হবে।
ইতি------- সমীর✍️
------------------------------------------------------------------------------- আজকের গল্প * স্বপ্ন *
আমার দাদুর বড়াবড়ের শখ ছিল , ফলের বাগান তৈরীর ,
তাই আমাদের বাড়ীর পাশেই বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে
তৈরী করেছিলেন , বিশাল এক 🏝️ফলের বাগান।
এখানে রয়েছে আম্রপালি , লক্ষণভোগ , মৌচুশি , গোলাপখাস আমের গাছ । কাঁচা মিঠে আমের
গাছো একটি আছে । এর পাশেই রয়েছে কাশির কেজি-----
🍈পেয়ারার গাছ , বারুইপুরের পেয়ারাও আছে । এর পাশে আছে সপেদা , জামরূলের গাছ , তার পাশে আছে কাঁঠালের গাছ , বাতাবি লেবুর গাছ ও একটা আছে। তার পাশে যে
সুপারি গাছ গুলোআছে , সেগুলি অবশ্য আমার ঠাকুমা
লাগিয়ে ছিলেন । তার পান খাওয়ার নেশা ছিল , তাই তিনি
তার বাপের বাড়ী থেকে ওই সুপারীর গাছগুলো এনে , এই
বাগানে লাগিয়ে ছিলেন। সুপারি গাছের পাশেই আমার
বাবা একটি 🍏আপেলের গাছ লাগিয়ে ছিলেন । সেটি অবশ্য
বাঁচেনি , আমাদের এই আবহাওয়ায় কি আর আপেল গাছ
হয় , তাই হয়তো আপেলের গাছটি মরে গিয়েছিল।
আর নারকেলের গাছগুলোর পাশে , যে 🌴খেজুরের গাছটা
রয়েছে , সেটা কেউ লাগায়নি । পাখিরা খেজুর খেয়ে
বোধ হয় ফেলে ছিল , তার থেকেই এই খেজুরের গাছটা
হয়েছে । আমি এই বাগনে কোন গাছ লাগাইনি----
তবে আপেল কুলের গাছটা অবশ্য আমিই লাগিয়েছি ।
গত কাল রাত প্রায় একটা ----দেড়টা হবে , এমন সময়
আমাদের বাগানে খস ---খস আওয়াজে হঠাৎ আমার
ঘুম ভেঙ্গে গেল ------
আমি আমাদের বাড়ির উপর তলার একটি ঘরে , একাই
ঘুমাই । এর ঘরটি জানলা দিয়ে আমাদের বাগানটি
পরিস্কার দেখতে পাওয়া যায়।
এত রাতে , বাগানের এই খস-- খস-- শব্দ কি হতে পারে ?
চোর নয়তো------? এখন কাঁচা আমের সময় , এবছর
আবার আমগাছ গুলিতে প্রচুর আম ধরেছে । যদিও
আম এখন পাকতে অনেক বাকি । তবুও বলা যায়না , কাঁচা
আম চুরি করছে হয়তো--------
চুপি---- চুপি জানালাটি খুলে , বাগানের দিকে চেয়ে দেখি ,
দুটি অল্প বয়েসি মেয়ে , দুজনে কি যেন করছে ।
আমি চুপিচুপি আমার ঘরের দরজা খুলে , পা টিপে টিপে
আমাদের বাগানে চলে গেলাম । ওরা দু'জন আমার উপস্থিতি
বুঝতে এখনো পারেনি ------
আমি গলাটা একটু উঁচুয়েই বললাম , কে-----, কে তোমরা ?
আমার কথা শুনে তারা আমার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো ।
আমি আবার তাদের কে প্রশ্ন করলাম , কে তোমরা---?
এবার তাদের মধ্যে থেকে একজন তার নিজের বুকে
হাত রেখে বললো , আমি লাল পরি👩🚒 , ওন্য জনের দিকে
আঙুল দেখিয়ে বলে , আর ও হলো 👉নীলপরি-👩🏭---
ওদের কথা শুনে আমি চমকে উঠলাম---
আনন্দে বলে উঠলাম 👩🚒লালপরি----👩🏭নীলপরি------
আমি ওদের বললাম আমি তোমাদের আনেক কথা শুনেছি।
👩🚒লালপরিটি বলে কোথায় শুনেছো------?
আমি বললাম আমার ঠাকুমার কাছে , আমি যখন ছোট
ছিলাম। তখন ঠাকুমা রোজ রাত্রে আমাকে ঘুম পাড়াতে --- পাড়াতে তোমাদের কথা বলতো।
আমার এই কথাটা শুনে 👩🚒লাল পরিটি , বললো ও-------
এর পর আমি বললাম , জানতো তোমাদের নিয়ে ---,
বইও লেখা হয়েছে --------
👩🏭নীল পরিটি বলে ও তাই নাকি---?
আমি বললাম হ্যাঁ , বইটির নাম কি জানো-----?
👩🚒লাল পরিটি বললো কি নাম -?
আমি বললাম বইটির নাম ঠাকুমার ঝুলি---
👩🏭নীলপরিটি বললো ও-------
এবার আমি কিছুটা অভিযোগের সুরে ওদের কে
বললাম , এতদিন তোমরা আসোনি কেন----?
আমার এই প্রশ্নের উত্তরে 👩🚒লালপরি বললো ,
কি করে আর তোমাদের এখানে আসবো বলো।
আগে সব এখানে কত বড়-বড় রাজা ছিল।
আর সেই সব রাজাদের কত বড়-বড় ফলের বাগান , ফুলের বাগান ছিল। এখন তো আর সেই সব রাজাও নেই ,
আর সেই সব বড়-বড়🍊🍓 ফলের বাগান, 🌷ফুলের বাগান ও আর নেই------
👩🚒লাল পরির কথা শেষ হতে না হতেই ,👩🏭 নীল পরিটি বলে
তাছাড়া তোমাদের এখানে এত ধূলো , এত ধোঁওয়া🏭 , এত পলিউশন , তার পর বিকট সব যন্ত্র---দানবের শব্দ ,
তার উপর তোমরা আবার নগরায়ন করেছো , ফলে উড়োজাহাজ✈️ , রেলগাড়ী , 🚕🚛মটর গাড়ীর ,
এই ঘর - ঘর , ঘন-ঘন , ঝন ঝন শব্দ
এসব বাবু আমাদের ভালো লাগেনা।
👩🏭নীল পরির কথা শেষ হতেই , 👩🚒লাল পরিটা বলে ----
তাছাড়া তোমাদের এখানে এত পলিটিক্স , হিংসা , মারামারি, বোম , গুলি ------
আমরা হোলাম অন্য গ্রহের বাসিন্দা , এসব আমাদের একদম
ভালো লাগেনা । এই সব কারনের জন্য এখন আর
আমরা এখানে আসিনা।
আজ অনেকদিন পর এই দিক দিয়ে উড়ে যেতে যেতে----
দেখলাম , এখন তোমাদের এখানটা বেশ শান্ত মনে হলো----
আর ফলের এই বাগানটি ও বেশ বড় ,
আমাদের বেশ ভালো লেগে গেল , তাই-----
একটু জিরিয়ে নিয়ে , এখুনি আমরা আবার উড়ে যাবো ----
আমি 👩🚒লাল- 👩🏭নীল পরিদের বললাম , তোমরা আর একটু বসো ,
তোমরা কতদিন পরে এলে , কিছু খেয়ে যাও ---
আমি এখুনি তোমাদের জন্য একটু দুধ নিয়ে আসছি ।
তোমরা এখানে একটু বসো , আমি এখুনি আসছি।
এই বলে আমি ওভেনে ওদের জন্য দুধ গরম করে নিয়ে
গেলাম।
ওরা আমাকে বললো , এত রাতে আবার এসবের কি
দরকার ছিল---, শুধু - শুধু তোমার কত কষ্ট হলো----?
আমি বললাম না কষ্ট কিসের , আমাদের এখানে লকডাউন
চলছে , তাই আমাদের গরুর দুধ আর তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
লোকে তো এখন সবাই গৃহ 🏠 বন্দি , কোথাও বের হওয়া
বারন , তাই আমাদের বাড়িতে এখন গরুর দুধের অভাব
নেই , ওভেনে এখুনি গরম হয়ে গেল ----
আজ তোমাদের সাথে দেখা হতে , আমার যে কি আনন্দ
হচ্ছে , তা আমি তোমাদের বলে বোঝাতে পারবো না।
আনন্দে আমার বুম্বাদার সেই হিট ছবি---
🍂 * দুটি পাতা * সিনেমার গানটা গাইতে ইচ্ছে করছে।
আমি আর আমার আবেগ ধরে রাখতে পারলাম না।
গাইতে লেগে গালাম ---------
" সত্যি আজ রুপ কথার দেশে এলাম
লালপরি আর নীলপরির দেখা পেলাম
------ হুঁ--হুঁ---হু--পরির দেখা পেলাম --------"
আমার গানটা শেষ হতেই 👩🚒লালপরি
আমকে জিজ্ঞাসা করে , বুম্বাদা কে ---?
আমি বললাম , বুম্বাদা মানে , প্রসেনজিৎ দা ,
প্রসেনজিৎ দা মানে , টালিগঞ্জের এক নম্বর
সুপারস্টার হীরো , এত সুন্দর অভিনয় করে না।
তা তোমাদের কি বলবো , জনতো আমি না ,
প্রসেনজিৎ দার সিনেমা দেখতে খুব ভালোবাসি।
আমার কখা শুনে 👩🏭নীলপরিটা বলে , তাই নাকি ---
আমি বললাম হ্যাঁ , যাকে বলে একেবারে অন্ধ ভক্ত ,
তার ফ্যান ------।
এই দেখ কথা বলতে বলতে কত দেরি হয়ে গেল ।
আসলে আমার ওই রোগ , কথা বলতে লাগলে
আর থামতেই চায়না , আসলে আমি বেশি কথা বলিতো
তাই------- , তোমরা কিছু মনে করো না ।
নাও-নাও দুধ টুকু খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি , না হলে আবার
দুধ ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এখন ঠান্ডা জিনিস না খাওয়াই ভালো , কুসুম কুসুম ,
উষ্ণ গরম খাওয়াই ভালো।
আমার কথা মত ওরা , আমার গরম করে আনা দুধের
গ্লাস যেই ধরতে যাবে , আমি ওদের বাধা দিয়ে বললাম।
আহা , দাঁড়াও --- , আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ✋ হাত
ধুয়ে নাও।
আমার কথা মত 👩🚒লালপরি আর 👩🏭নীলপরি ,
আমার আনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ✋ হাত ধুয়ে নিল।
আর পরম আনন্দে আমার আনা গরুর দুধের 🥤গ্লাসে চুমুক
দিয়ে , খেয়ে নিল।
দুধের খালি 🥛গ্লাস নামিয়ে , রাখতে রাখতে ----
👩🚒লালপরি বললো
তোমাদের গরুর দুধ খুব ভালো লাগলো খেতে ।
আমি মুচকি হেসে বললাম , আসলে ঘরের গরুর দুধ তো,
ভেজাল নেই , একে বারে খাঁটি।
তবে লকডাউনের পর এ স্বাদ আর থাকবে না ।
👩🏭নীলপরি জিজ্ঞাস করলো কেন ---?
আমি বললাম তখন আমারা দুধে জল মেসাবো তো তাই----
👩🚒লালপরি জিজ্ঞাস করলো , দুধে জল মেসাবে কেন --?
আমি বললাম , বুঝতে পারলে না তো -----
তাহলে আমি বলছি শুনো ।
আরে বাবা দুই লিটার গরূর দুধে , এক লিটার জল মিশিয়ে
দিলে , তিন লিটার হয়ে গেল , এক লিটার বেড়ে গেল ।
👩🏭নীলপরিবলে , তার মানে তোমরা গরুর দুধে ভেজাল দেবে ?
👩🏭নীল পরির কথায় আমি হেসে উওর দিলাম , আমাদের
এখানে ভেজাল টাই বেশী চলে ।
যাক গে কথা , এবার তোমরা এই 🍯 মধু টুকু খেয়ে নাও।
আমার কখা শুনে , লালপরি বলে আবার 🍯 মধু কেন--?
আমি বললাম , আরে খাও, খাও ------, মধু খাওয়া ভালো।
মধু মানে ইয়ে , মানে , মধুতে হোলো গিয়ে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের গুন আছে।
তাই মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এই সময় চারপাশে কোরনার ভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাই এখন মধু খওয়া খুব ভালো।
এই বলে 🥃বাটিতে করে আমার আনা মধু , ওদের খেতে
দিলাম।
ওরা এবার খুব আনন্দ করে আমার আনা মধু খেলো।
খালি বাটি নামিয়ে রাখতে রাখতে ----
👩🚒লালপরি বলে , তোমার মধু খুব ভালো লাগলো খেতে----
আমি , মুচকি হেসে বললাম , এটা আমার মধু নয়-----
এটা পতঞ্জলির 🍯 মধু , স্বদেশী এবং খাঁটি।
👩🏭নীলপরি বললো , যাকগে অনেক দেরি হয়ে গেল।
এবার আমরা আসি -----
👩🚒লালপরি আর👩🏭 নীলপরি দুজনে উঠে দাঁড়ালো ,
ওরা এবার চলে যাবে---------
আমি বললাম বেশ , তাহলে এসো , আর হ্যাঁ এই নাও
এই গুলো মুখে এঁটে নাও।
ওরা বললো এগুলো কি---------?
আমি বললাম এগুলো হলো মাক্সাস , এগুলো থ্রি লেয়ারের
আছে , এবং ভালো ব্যান্ডের।
এগুলো মুখে এঁটে রাখলে সহজে করনাভারাইস আক্রমণ
করতে পারবে না।
আমার কথা শুনে পরিরা বললো , আমাদের ওখানে ওসব
কোরনাভাইরাস নেই।
আমি বললাম ঠিক আছে , আমি মানছি তোমাদের কথা ,
যে তোমাদের ওখানে কোরোনা ভাইরাস নেই।
কিন্তু তোমারা আমাদের এখানে এসেছো , এখান থেকে
তোমাদের ওখানে কোরোনার ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।
কোরোনাভাইরাস খুপ খারাপ , খুপ খতরনাক----
তাছাড়া সাবধানের মার নেই------
প্লিজ তোমরা মুখে মাক্সাস পড়ে নাও----।
ওরা আমার দেওয়া মাক্সাস মুখে পড়ে নিয়েছে।
এবার ওরা উরে যাবে , আমি বললাম এই নাও এই আমগুলো তোমাদের কাছে রেখে দাও , এগুলো
কাঁচা - মিঠে আম , খুব ভালো খেতে ।
পথে যেতে যেতে , খিদে পেলে খেও------
তবে খাওয়ার আগে , আমি যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার
দিয়ছি , তাই দিয়ে ভালো করে হাত ✋ধুয়ে নিয়ে ,তারপর
আমগুলো খাবে।
ওরা মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
ওরা এবার উড়ে যাবে , হঠাৎ এমন সময় আমি বললাম
তোমাদের 📱ফোন নম্বরটা দিয়ে যাও।
তাহলে তোমাদের সাথে ভিডিও কল 📱📲 করা যাবে।
ওরা আমার কথা শুনে ,ফ্যালফ্যাল করে আমার
মুখের তাকয়ে রইলো।
আমি আমার জামার পকেটে থেকে ,আমার 📱অ্যান্ড্রয়েড
ফোনটা দেখিয়ে বললাম এটা-----।
ওরা আমার ফোনটা দেখে বললো , এ জিনিস আমাদের নেই
এমন কি আমাদের ওখানে কারোও এটা নেই ।
ওদের কথা শুনে আমি বললাম, আমার একটা ফোন
এক্সটা আছে , তোমাদের কে দিয়ে দিতাম , কিন্তু ফোন
রিচার্জ করবে কি করে ?
রিচার্জ না হয় , আমি করে দেবো , কিন্তু নেটওয়ার্ক
পাবে কি করে ?
ওখানে তো কোন ফোন কোম্পানি আবার
টাওয়ার বসায়নি ।
থাক তাহলে কি আর করা যাবে , এসো তোমরা তাহলে ,
সাবধানে যেও--------
ওরা উড়তে শুরু করেছে , ওরা উড়ে যাচ্ছে-------
ওদের ডানাগুলোর উঠা --- নামার তালে-তালে , ওদের
সুন্দর সোনালী ডানার থেকে ----
লাল-----নীল , হলদে-----সবুজ , রং বেরঙের সব
আলোর দ্যুতি টুক টুক করে ঝড়ে পড়ছে -----------
আমি চেয়ে আছি সেই দিকে , ওরা ক্রমস হারিয়ে যাচ্ছে----
আমার চোখের নজর থেকে , আমার খুব কান্না পাচ্ছে।
এবার আমি সত্যি , সত্যিই এবার আমি কাঁদছি----
হাউ ---হাউ করে কাঁদছি-------
আমার কান্না শুনে পাশের ঘর থেকে কখন , আমার মা
চলে এসেছে আমার ঘরে , আমি তা বুঝতে পারিনি।
বুঝতে পারলাম যখন , মা আমাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে
তুলে।
আমি এমনি ধিরপির করে উঠে , বিছানার উপর বসলাম।
মা জিজ্ঞাস করলো কি হয়েছে বেটা -------?
আমি কান্না জরানো গলায় , মা কে বললাম।
ওরা চলে গেছে মা--------
মা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলো, কারা চলেগেছে বাবা--?
আমি কান্না জোরোনো গলায় , বললাম ------
👩🚒লালপরি আর 👩🏭নীলপরি , মা --------
মা মুচকি হেসে ,আমার মাথাটা তার কোলে টেনে নিয়ে ,
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো-----
ওটা স্বপ্ন ছিল বেটা ----------
আমি মায়ের কোল থেকে , আমার মাথাটা ইসৎ তুলে ,
মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম--------, ওটা--------?
মা আমার মাথায় , বিলি কেটে দিতে - দিতে
মা বললো , ওটা------
আমি বললাম , স্বপ্ন----------------
---------------------------------------------------------------------------------
নমস্কার 🙏
সবাই ভালো থাকবেন , আমার এই লেখাটি আপনাদের
কেমনে লেগছে জানাবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত এর আশায় রইলাম।
Comments