Skip to main content

স্বপ্ন

সুপ্রিয় পাঠক ------ 
অনেক‌ কষ্ট‌  , অনেক ‌‌সময়‌ নিয়ে , এই ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌লেখাটি‌ আমি
আপনাদের ‌‌‌‌‌জন্য লিখেছি । লকডাউনের ‌‌‌‌এই দীর্ঘ সময়,
ঘর বন্দি থাকার দরুন , হয়তো‌  এক‌  ঘেঁয়েমি লাগছে।
এই গল্পটি  একটু কষ্ট করে পড়ে দেখবেন।
আশাকরি গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আমার এই পল্পটি পড়ে , যদি কেউ ক্ষনিকের 
আনন্দ ‌‌‌‌‌পান। তাহলে আমার এত কষ্ট করে লেখা‌ ও
শ্রম সার্থক হবে।
 ‌‌‌‌‌‌                   ইতি------- সমীর✍️
-------------------------------------------------------------------------------                  আজকের গল্প * স্বপ্ন *
                   রচনা-----------সমীর


আমার দাদুর বড়াবড়ের শখ ছিল , ফলের বাগান তৈরীর ,
তাই আমাদের বাড়ীর পাশেই বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে
তৈরী করেছিলেন  , বিশাল‌‌ ‌এক‌  🏝️ফলের বাগান।
এখানে রয়েছে আম্রপালি , লক্ষণভোগ , মৌচুশি , গোলাপখাস আমের গাছ ।‌ কাঁচা মিঠে আমের 
গাছো একটি আছে  ।   এর পাশেই  রয়েছে ‌‌‌কাশির কেজি-----
🍈পেয়ারার গাছ , বারুইপুরের পেয়ারাও  আছে । এর পাশে আছে ‌ সপেদা , জামরূলের‌ গাছ , তার পাশে‌‌ আছে কাঁঠালের গাছ , বাতাবি লেবুর গাছ ও একটা আছে‌। তার পাশে যে
সুপারি গাছ গুলো‌আছে , সে‌গুলি অবশ্য আমার ঠাকুমা
লাগিয়ে ছিলেন । তার পান‌  খাওয়ার  নেশা ছিল , তাই তিনি
তার বাপের বাড়ী থেকে ওই সুপারীর গাছগুলো এনে , এই
বাগানে লাগিয়ে ছিলেন। সুপারি গাছের পাশেই‌ আমার 
বাবা একটি 🍏আপেলের গাছ লাগিয়ে ছিলেন । সেটি অবশ্য
বাঁচেনি , আমাদের এই আবহাওয়ায় কি আর আপেল গাছ
হয় , তাই হয়তো আপেলের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌গাছটি মরে গিয়েছিল।
আর নারকেলের গাছগুলোর পাশে , যে 🌴খেজুরের গাছটা
রয়েছে , সেটা কেউ লাগায়নি । পাখিরা খেজুর খেয়ে
 বোধ হয় ফেলে ছিল , তার থেকেই এই খেজুরের গাছটা
হয়েছে । আমি  এই বাগনে‌ কোন‌ গাছ লাগাইনি----
তবে আপেল কুলের গাছটা‌ অবশ্য ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌আমিই‌  লাগিয়েছি ।
গত কাল‌ রাত প্রায় একটা ----দেড়টা  হবে  , এমন সময় 
আমাদের বাগানে ‌‌‌‌খস ---খস আওয়াজে ‌‌‌‌‌‌‌হঠাৎ আমার 
ঘুম ভেঙ্গে গেল ------
আমি আমাদের বাড়ির উপর তলার একটি ঘরে , একাই 
ঘুমাই । এর ঘরটি জানলা দিয়ে‌  আমাদের  বাগানটি 
পরিস্কার দেখতে পাওয়া যায়।
এত রাতে , বাগানের এই খস-- খস-- শব্দ ‌‌‌‌কি হতে পারে ?
চোর নয়তো‌------? এখন কাঁচা ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌আমের সময় , এবছর 
আবার আমগাছ গুলিতে প্রচুর আম ধরেছে ।‌‌‌‌‌‌‌ যদিও
আম এখন পাকতে অনেক বাকি । তবুও বলা যায়না , কাঁচা
আম চুরি করছে হয়তো--------
চুপি---- চুপি জানালাটি খুলে , বাগানের দিকে চেয়ে দেখি ,
দুটি ‌‌‌‌‌অল্প  বয়েসি মেয়ে , দুজনে কি যেন করছে ।
আমি চুপিচুপি আমার ঘরের দরজা খুলে , পা টিপে টিপে
আমাদের বাগানে চলে‌ গেলাম । ওরা দু'জন আমার উপস্থিতি
বুঝতে এখনো পারেনি ------
আমি গলাটা একটু উঁচুয়েই বললাম‌ , কে-----, কে তোমরা ?
আমার কথা শুনে ‌‌‌‌‌‌‌তারা আমার দিকে ‌‌‌‌‌‌‌ঘুরে দাঁড়ালো ।
আমি আবার তাদের কে প্রশ্ন ‌‌‌‌‌‌‌‌করলাম  , কে তোমরা---?
এবার তাদের মধ্যে থেকে একজন তার নিজের ‌‌‌‌‌‌‌বুকে
হাত রেখে ‌‌‌‌‌‌‌বললো , আমি লাল পরি👩‍🚒 , ওন্য ‌‌জনের দিকে
আঙুল দেখিয়ে বলে , আর ও হলো 👉নীলপরি-👩‍🏭---

ওদের কথা শুনে ‌‌‌‌‌আমি চমকে উঠলাম---
আনন্দে বলে উঠলাম 👩‍🚒লালপরি----👩‍🏭নীলপরি------
আমি ওদের বললাম আমি তোমাদের আনেক‌ কথা শুনেছি।
👩‍🚒লালপরিটি বলে কোথায় শুনেছো------?
আমি বললাম আমার ঠাকুমার কাছে , আমি যখন ছোট
ছিলাম। তখন ঠাকুমা রোজ রাত্রে আমাকে ঘুম পাড়াতে --- পাড়াতে তোমাদের ‌‌‌‌‌‌‌‌কথা বলতো।
আমার এই কথাটা শুনে 👩‍🚒লাল পরিটি‌ , বললো ও-------
এর পর আমি বললাম , জানতো তোমাদের নিয়ে ---,
বইও‌ লেখা হয়েছে --------
👩‍🏭নীল পরিটি বলে ও‌ তাই নাকি---?
আমি বললাম হ্যাঁ , বইটির নাম কি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌জানো-----?
👩‍🚒লাল পরিটি বললো কি নাম -?
আমি বললাম বইটির নাম ঠাকুমার ঝুলি---
👩‍🏭নীলপরিটি বললো ও-------
এবার আমি কিছুটা অভিযোগের সুরে ওদের কে
বললাম , এতদিন তোমরা আসোনি কেন----?
আমার এই প্রশ্নের উত্তরে 👩‍🚒লালপরি বললো , 
কি করে আর  তোমাদের এখানে আসবো বলো।
আগে সব এখানে কত বড়-বড় রাজা ছিল।
আর সেই সব রাজাদের কত বড়-বড় ফলের বাগান , ফুলের বাগান ছিল। এখন তো আর সেই সব রাজাও নেই , 
আর‌ সেই সব বড়-বড়🍊🍓 ফলের বাগান,‌‌‌ 🌷ফুলের বাগান ও আর নেই------

👩‍🚒লাল পরির কথা শেষ হতে না হতেই ,👩‍🏭 নীল পরিটি বলে
তাছাড়া তোমাদের এখানে এত ধূলো , এত ধোঁওয়া🏭 , এত পলিউশন , তার পর বিকট সব যন্ত্র---দানবের শব্দ ,
তার উপর তোমরা আবার নগরায়ন করেছো , ফলে উড়োজাহাজ✈️ , রেলগাড়ী , 🚕🚛মটর গাড়ীর , 
এই ঘর - ঘর , ঘন-ঘন , ঝন ঝন শব্দ
  এসব বাবু আমাদের ভালো ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌লাগেনা।
 
👩‍🏭নীল পরির কথা শেষ হতেই , 👩‍🚒লাল পরিটা বলে ----
তাছাড়া তোমাদের এখানে এত পলিটিক্স ,  হিংসা , মারামারি,   ‌বোম‌ , গুলি ------
আমরা হোলাম অন্য গ্রহের বাসিন্দা , এসব আমাদের একদম
ভালো লাগেনা । এই সব কারনের  জন্য এখন আর
 আমরা এখানে আসিনা।

আজ অনেকদিন পর এই দিক দিয়ে উড়ে যেতে যেতে----
দেখলাম , এখন তোমাদের‌ এখানটা বেশ  শান্ত মনে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌হলো----
আর ফলের এই বাগানটি ও বেশ বড় ,
আমাদের বেশ ভালো লেগে‌ গেল , তাই-----
একটু জিরিয়ে নিয়ে ,  এখুনি‌‌ আমরা আবার উড়ে যাবো ----
আমি 👩‍🚒লাল- 👩‍🏭নীল পরিদের বললাম ‌ , তোমরা আর একটু বসো ,
তোমরা কতদিন ‌‌‌‌‌পরে এলে , কিছু ‌‌‌‌‌‌‌খেয়ে যাও ---
আমি এখুনি ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌তোমাদের জন্য একটু দুধ নিয়ে আসছি ।
তোমরা এখানে একটু‌ বসো , আমি এখুনি আসছি।
এই বলে আমি ওভেনে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ওদের জন্য দুধ গরম করে‌ নিয়ে
গেলাম।
ওরা আমাকে বললো  , এত রাতে ‌‌‌‌‌‌‌আবার এসবের কি 
দরকার ছিল---,  শুধু - শুধু ‌ তোমার কত‌ কষ্ট‌ হলো----?
আমি বললাম না কষ্ট কিসের , আমাদের এখানে লকডাউন
চলছে , তাই আমাদের গরুর দুধ‌ আর তেমন ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ বিক্রি হচ্ছে না।
লোকে তো এখন সবাই গৃহ 🏠 বন্দি , কোথাও ‌‌‌‌‌বের হওয়া
বারন , তাই আমাদের বাড়িতে এখন গরুর দুধের অভাব
নেই , ওভেনে এখুনি ‌‌‌‌‌গরম হয়ে গেল ----
আজ তোমাদের সাথে দেখা হতে , আমার যে কি আনন্দ
হচ্ছে , তা  আমি তোমাদের বলে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌বোঝাতে পারবো না।
আনন্দে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌আমার বুম্বাদার সেই‌‌ হিট ছবি---
🍂 * দুটি পাতা * সিনেমার গানটা গাইতে ইচ্ছে করছে।
আমি আর আমার আবেগ ধরে রাখতে পারলাম না।
গাইতে লেগে গালাম ---------
" সত্যি আজ রুপ কথার দেশে এলাম
লালপরি  আর নীলপরির‌ দেখা পেলাম
------ হুঁ--হুঁ---হু--পরির দেখা পেলাম --------"

আমার গানটা শেষ‌ হতেই‌ 👩‍🚒লালপরি
আমকে জিজ্ঞাসা করে , বুম্বাদা  কে ---?
আমি‌ বললাম , বুম্বাদা মানে , প্রসেনজিৎ দা ,
 প্রসেনজিৎ দা  মানে  ,  টালিগঞ্জের  এক  নম্বর
সুপারস্টার হীরো , এত সুন্দর অভিনয় করে না।
তা তোমাদের ‌‌‌‌কি বলবো , জনতো আমি না , 
প্রসেনজিৎ দার সিনেমা দেখতে খুব‌ ভালোবাসি।
আমার কখা‌ শুনে 👩‍🏭‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌নীলপরিটা বলে , তাই ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌নাকি ---
আমি বললাম ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌হ্যাঁ , যাকে বলে একেবারে অন্ধ ভক্ত ,
তার ফ্যান ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌------।
এই দেখ কথা বলতে বলতে কত দেরি হয়ে গেল ।
আসলে আমার ওই রোগ‌‌ , কথা বলতে  লাগলে
আর থামতেই চায়না , আসলে আমি বেশি কথা ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌বলিতো‌ 
তাই------- , তোমরা কিছু মনে করো না ।
নাও‌-নাও দুধ টুকু খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি , না হলে আবার
দুধ ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এখন ঠান্ডা জিনিস না খাওয়াই ভালো , কুসুম কুসুম ‌, 
উষ্ণ গরম খাওয়াই ভালো।
আমার কথা মত ওরা , আমার গরম করে আনা দুধের
গ্লাস যেই ধরতে যাবে , আমি ওদের বাধা দিয়ে বললাম।
আহা , দাঁড়াও ‌--- , আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ✋ হাত
ধুয়ে নাও।
আমার কথা মত 👩‍🚒লালপরি‌ আর‌ 👩‍🏭নীলপরি ,
আমার আনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ✋ হাত ধুয়ে নিল।
আর পরম আনন্দে আমার ‌‌‌‌‌আনা গরুর দুধের 🥤গ্লাসে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌চুমুক
দিয়ে , খেয়ে নিল।
দুধের খালি 🥛গ্লাস নামিয়ে , রাখতে রাখতে ----
👩‍🚒লালপরি বললো
তোমাদের গরুর দুধ খুব ভালো লাগলো খেতে ।
আমি মুচকি হেসে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌বললাম‌ , আসলে ঘরের গরুর দুধ তো,
ভেজাল নেই , একে বারে ‌‌‌‌‌‌‌‌খাঁটি।
তবে‌ লকডাউনের পর এ স্বাদ আর থাকবে না ‌।
👩‍🏭নীলপরি‌ জিজ্ঞাস করলো কেন ---?
আমি বললাম তখন  আমারা‌ দুধে জল মেসাবো তো তাই----
 
👩‍🚒লালপরি  জিজ্ঞাস করলো , দুধে জল‌ মেসাবে কেন --?
আমি বললাম ,‌ বুঝতে পারলে না তো -----
তাহলে আমি বলছি শুনো ।
আরে বাবা‌‌ দুই  লিটার গরূর দুধে‌ , এক লিটার জল মিশিয়ে
দিলে  , তিন লিটার হয়ে গেল , এক লিটার বেড়ে গেল ।
👩‍🏭নীল‌পরিবলে ‌, তার মানে তোমরা গরুর দুধে ভেজাল  দেবে ?
👩‍🏭নীল পরির কথায় আমি হেসে উওর দিলাম , আমাদের
এখানে ভেজাল টাই বেশী চলে ।
যাক গে কথা , এবার তোমরা এই 🍯 মধু টুকু খেয়ে নাও।
আমার ‌‌‌‌‌কখা শুনে ‌, লালপরি‌ বলে‌ ‌‌‌‌‌‌‌আবার 🍯 মধু কেন--?
আমি বললাম , আরে খাও‌, খাও ------,  মধু ‌‌‌‌‌‌‌‌খাওয়া ভালো।
মধু মানে ইয়ে , মানে ,  মধুতে হোলো গিয়ে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল‌ের গুন আছে।
তাই  মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এই সময় চারপাশে কোরনার ভাইরাস ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তাই এখন  মধু ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌খওয়া‌ খুব ভালো।
এই‌ বলে‌ 🥃বাটিতে‌ ‌করে‌‌  আমার‌ আনা‌  মধু , ওদের খেতে
দিলাম।
ওরা এবার খুব আনন্দ করে আমার আনা ‌‌‌‌‌‌‌মধু‌ খেলো।
খালি বাটি নামিয়ে রাখতে রাখতে ----
👩‍🚒লালপরি‌ বলে‌  , তোমার ‌‌‌‌‌মধু খুব ভালো লাগলো খেতে----
আমি , মুচকি হেসে ‌‌বললাম‌ , এটা আমার মধু নয়-----
এটা পতঞ্জলির 🍯 মধু , স্বদেশী এবং খাঁটি।
👩‍🏭নীলপরি বললো , যাকগে  অনেক দেরি হয়ে গেল।
এবার আমরা ‌‌‌‌‌‌‌আসি‌ -----
👩‍🚒লালপরি আর👩‍🏭 নীলপরি‌ দুজনে উঠে দাঁড়ালো ,
ওরা এবার চলে যাবে---------


আমি বললাম বেশ , তাহলে এসো ,‌ আর হ্যাঁ ‌‌‌‌এই নাও
এই গুলো মুখে ‌‌‌‌‌এঁটে নাও।
ওরা বললো এগুলো কি---------?
আমি বললাম এগুলো ‌‌‌ হলো মাক্সাস ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ এগুলো থ্রি লেয়ারের
আছে , এবং ‌‌‌‌‌‌‌ভালো ব্যান্ডের।
এগুলো মুখে এঁটে ‌‌‌‌‌‌‌‌রাখলে সহজে‌ করনা‌ভারাইস আক্রমণ
করতে পারবে‌‌ না।
আমার কথা‌‌ শুনে পরিরা বললো , আমাদের ওখানে ওসব
কোরনাভাইরাস নেই।
আমি‌‌ বললাম ঠিক  আছে ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ আমি‌  মানছি তোমাদের ‌‌‌‌‌‌‌‌কথা ,
যে  তোমাদের ‌‌‌‌‌‌‌‌ওখানে কোরোনা ভাইরাস নেই।
কিন্তু তোমারা আমাদের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌এখানে‌ এসেছো ,‌ এখান‌ থেকে 
তোমাদের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ওখানে কোরোনার  ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে।
কোরোনাভাইরাস খুপ খারাপ ,‌‌‌‌‌ খুপ  খতরনাক----
তাছাড়া  সাবধানের‌‌  মার‌  নেই------
প্লিজ তোমরা‌ মুখে ‌‌‌‌‌‌‌‌মাক্সাস পড়ে নাও----।
ওরা আমার দেওয়া মাক্সাস মুখে পড়ে নিয়েছে।
এবার ওরা উরে যাবে , আমি‌ বললাম ‌‌‌‌এই নাও এই আমগুলো তোমাদের কাছে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌রেখে দাও ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ এগুলো‌
কাঁচা - মিঠে আম‌ , খুব ভালো খেতে ।
পথে যেতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌যেতে  ,  খিদে পেলে খেও------
তবে  খাওয়ার‌  আগে ,  আমি যে‌ হ্যান্ড স্যানিটাইজার
দিয়ছি , তাই দিয়ে ভালো করে  হাত ✋ধুয়ে ‌‌‌‌‌‌‌নিয়ে ,তারপর
আমগুলো  খাবে।
ওরা মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো।
ওরা ‌‌‌‌‌‌‌এবার উড়ে যাবে , হঠাৎ এমন‌‌ সময়‌ আমি বললাম
তোমাদের 📱ফোন নম্বরটা দিয়ে যাও।
তাহলে তোমাদের সাথে  ভিডিও কল 📱📲 করা যাবে।
ওরা আমার কথা‌‌ শুনে ,‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফ্যালফ্যাল করে আমার
মুখের ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌তাকয়ে রইলো।
আমি আমার জামার পকেটে থেকে ,আমার 📱অ্যান্ড্রয়েড
ফোনটা দেখিয়ে বললাম এটা-----।
ওরা আমার ফোনটা দেখে বললো , এ জিনিস আমাদের নেই 
এমন কি আমাদের ওখানে কারোও এটা নেই ।
ওদের কথা শুনে আমি বললাম,  আমার‌ একটা ফোন 
এক্সটা আছে , তোমাদের কে‌ দিয়ে দিতাম , কিন্তু ফোন
রিচার্জ ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌করবে কি‌ করে ?
রিচার্জ ‌‌‌‌না হয় , আমি করে দেবো , কিন্তু নেটওয়ার্ক
পাবে‌ কি করে ?
ওখানে তো কোন‌ ফোন  কোম্পানি  আবার
টাওয়ার বসায়নি ।
থাক তাহলে ‌‌‌‌কি আর করা যাবে  , এসো তোমরা তাহলে ,
সাবধানে যেও--------
ওরা উড়তে শুরু করেছে ,‌‌‌‌ ওরা উড়ে যাচ্ছে-------
ওদের ডানাগুলোর উঠা --- নামার তালে‌‌-তালে‌ , ওদের 
সুন্দর সোনালী ডানার থেকে ----
লাল-----নীল , হলদে-----সবুজ , রং বেরঙের‌ সব
আলোর দ্যুতি  টুক টুক করে ঝড়ে পড়ছে -----------
আমি চেয়ে আছি সেই দিকে , ওরা ক্রমস হারিয়ে যাচ্ছে----
আমার চোখের ‌‌‌‌‌নজর থেকে ,‌ আমার‌ খুব ‌‌‌‌‌‌‌‌কান্না পাচ্ছে।
এবার ‌‌‌‌‌‌‌আমি সত্যি , সত্যিই এবার আমি‌ কাঁদছি----
হাউ ---হাউ করে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌কাঁদছি-------
আমার ‌‌‌‌‌‌‌‌কান্না শুনে পাশের‌‌ ঘর থেকে কখন‌ , আমার মা
চলে এসেছে আমার ঘরে , আমি তা‌ বুঝতে‌‌ পারিনি।
বুঝতে পারলাম ‌‌‌‌‌‌‌যখন‌ , মা আমাকে ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে
তুলে।
আমি এমনি ধিরপির করে উঠে‌‌  , বিছানার উপর বসলাম।
মা জিজ্ঞাস করলো কি হয়েছে বেটা -------?
আমি কান্না জরানো‌ গলায়‌ , মা কে‌‌ বললাম‌।
ওরা চলে গেছে মা--------
মা অবাক হয়ে জিজ্ঞাস করলো‌,‌‌‌ কারা চলে‌গেছে বাবা--?
আমি কান্না জোরোনো গলায় , বললাম ------
👩‍🚒লালপরি  আর 👩‍🏭নীলপরি , মা --------
মা মুচকি হেসে ,আমার মাথাটা তার কোলে টেনে নিয়ে ,
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো-----
ওটা স্বপ্ন ছিল বেটা ----------
আমি মায়ের কোল থেকে , আমার মাথাটা‌ ইসৎ তুলে ,
মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম--------, ওটা--------?
মা আমার মাথায়  , বিলি‌ কেটে‌ দিতে - দিতে 
মা বললো  , ওটা------
আমি বললাম  , স্বপ্ন----------------
---------------------------------------------------------------------------------
   ‌‌‌                        নমস্কার  🙏
সবাই ভালো থাকবেন , আমার এই লেখাটি আপনাদের ‌
কেমনে ‌‌‌‌‌‌‌‌লেগছে জানাবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত এর আশায় রইলাম।















Comments

Samirblogpost.com

" জীবন যুদ্ধে হার না মানা এক মেয়ের কথা "

জন্ম হয়েছিল তার এক অতি গরীব দিন আনে দিন খায় পরিপারে। বাবা লোকের জমিতে দিন মজুরের কাজ করে। তাই ছোট থেকে ভালো খাওয়া, ভালো জামা-কাপড় পড়া, ভালো কোন সখ-আহ্লাদ,কোন কিছুই ভালো পাইনি সে। তবে এতকিছু ভালো না পাওয়ার পরেও লেখা-পড়ায় ভালো ছিল সে।  কিন্তু গরিব বাবা তার পড়াশোনার খরচ চালাবে কি করে ? তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে দিয়ে দিল তার। মেয়েটি ভেবেছিলো বাপের বাড়ীতে তার যা কিছু না-পাওয়া গুলো হয়তো সে তার শ্বশুড় বাড়িতে পেয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম-------- বিয়ে হলো তার সেই দিন-আনে,দিন-খায় এরকম এক ছেলের সাথে। শুরু হলো তার এক নতুন জীবন কন্যা থেকে বধু , কুমারী জীবন থেকে বিবাহিত‌ জীবন । এরপর সময়ের নিয়মে তার সংসারে আলো‌ করে এলো এক নতুন অতিথি ফুলের মতো এক ফুট-ফুটে মেয়ে তার কন্যা সন্তান। জীবনে এই প্রথম না পাওয়ার  ব্যথা-যন্ত্রণা সব ভুলিয়ে দিল এক অনাবিল সুখ ও আনন্দ তাহলো মাতৃত্বের । কন্যা থেকে বধু  , জায়া থেকে মাতা , পরিপূন্য হলো জীবনের একটি বৃত্ত। এই ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে ‌‌‌‌‌‌‌ছোট্ট - ছোট্ট সব সনালী স্বপ্নের জাল বুনতো শুরু করলো সে। কিন্তু নিয়তি ন্যঃ বাধ্যতে ------- এমন ...

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১

স্মল বিজনেস আইডিয়া পর্ব-১ মাএ ৩০০০.০০(তিন) হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি ব্যবসা। নিজের মনে আত্ম বিশ্বাস আর প্ররিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে। মাএ তিন হাজার 💰 টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। ঝুঁকি বিহীন লাভজনক একটি নিজের স্বাধীন ব্যবসা। *ব্যবসাটি হলো ঔষধ দেওয়া খামের ব্যবসা* আপনারা যখন মেডিক্যাল সপ বা ঔষধের দোকানে  ওষুধ কেনেন তখন দেখে থাকবেন ঔষধ দোকানদার আপনাকে( ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল) ওষুধ একটি সাদা কাগজের ঠোঙ্গা বা খামে ভরে সেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ওষুধ আপনার হাতে ধরিয়ে দেন। আজকের বিজনেস আইডিয়াটি হলো এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসা। এই ওষুধ দেওয়া খামের ব্যবসাটি আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ১। এই ওষুধ দেওয়া খাম পাইকারি বাজার থেকে কিনে। ২। এই ওষুধ দেওয়া খাম নিজে বাড়িতে বসে তৈরী করে। যদি আপনি পাইকারি বাজার থেকে এই খাম কিনে ব্যবসা করতে করতে👇  তাহলে কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ওল্ড চিনে বাজারে এই খাম গুলি পাইকারি দামে কিনতে পারবেন। ওল্ড চিনেবাজার হলো কলকাতা বড়বাজার অঞ্চলে ট্রিপল পট্টির ঠিক উল্টো দিকে। কলকাতা বড়বাজারে ট্রিপলপট্টি গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আপনাকে ...

ভিগো বউদি

আজকের গল্প -----ভিগো বউদি রচনা--------সমীর✍️ -------------------------------------------------------------------------------- সপ্তাহের আর ৬দিনের মতো , সেদিনও ‌সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম ,‌  বাড়িতে চা খেয়ে ‌, বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে , বাজারে গিয়েছিলাম । বাজারে গিয়ে প্রথম টের পেলাম , সপ্তাহের অন্যান্য ‌দিনের তুলনায় আজকের দিনটা ‌একটু অন্যরকম । প্রথম টের পেলাম , প্রতিদিনের মত ‌ বাজারে যার কাছে ‌ মাছ কিনি , তার কাছে মাছ কিনতে গিয়ে। আমাকে দেখেই সে আনন্দে গদগদ হয়ে ‌বলে‌ ---- দাদা  , আজকে ইলিশ মাছ নিয়ে যান বাড়িতে ‌---- বউদিকে আজকে ইলিশ মাছ ‌ খাওয়ান। আমি বললাম আরে না-----রে ভাই-----  আমি‌ তো  ছোট খাটো  ‌কম্পানীতে‌ , সামান্য ‌ বেতনে‌ চাকুরী করি । এই মাঙ্গার বাজারে ইলিশ কেনার  মত , আমার এত পয়সা ‌নেই ভাই ----- মাছ বিক্রেতা  ভাইটি  বলে , আরে  ছাড়ুন তো ‌ ‌দাদা এসব কথা , আজ আপনেকে কেনা দামেই দিয়ে দেবো। কেন আজ হঠাৎ কেনা দামেই মাছ দিয়ে দেব--, পচা না কি ? আরে দাদা না -না , মাছ একেবারে টাটকা । আসলে আজকে বউদির জন্য দিলাম।‌ বউদি ...